• ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৭শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ছাত্রদল নেতা বদরুলের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর, তাহার পরিবারের দাবী হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ কর্মী

admin
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২
ছাত্রদল নেতা বদরুলের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর, তাহার পরিবারের দাবী হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ কর্মী

দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি :: সিলেটে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সদরখলা গ্রামে গত রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ সাদিকুর রহমান বদরুল এর গ্রামের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্তরা। তারা হামলা চালিয়ে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে ও তাহার গর্ভধারিণী মা মোছাঃ রুসনা বেগম ও ছোট ভাই মোঃ জাহেদ মিয়াকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। আহতদের চিৎকার শুনে আসপাশের লোকজন চলে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে লোকজন তাদের উদ্ধার করে স্হানীয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। হামলার খবর শুনে আজ দুপুরে আমাদের সংবাদকর্মী হাসপাতালে গিয়ে হামলার ঘটনার বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়। আহত মোছাঃ রুসনা বেগমের স্বামী সিরাজ মিয়া’র সাথে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই হামলা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। আমি জরুরী একটি কাজে সিলেট শহরে ছিলাম হঠাৎ আমার মোবাইলে ফোন আসে যে আমার বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে এবং আমার স্ত্রী – সন্তান কে পিটিয়ে আহত করেছে, তারা এখন হাসপাতালে আছে। তখন আমি অতি তাড়াতাড়ি হাসপাতালে চলে আসি, এসে দেখতে পাই আমার স্ত্রী – সন্তান সন্ত্রাসীদের হামলায় রক্তাক্ত হয়ে আছে। এই হামলাটি আওয়ামীলীগ নেতা জবরুল ইসলাম জগলু ও সিলেট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলামের সন্ত্রাসীরা পূর্ব বিরোধের জের ধরেই আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে এবং আমার স্ত্রী, সন্তানকে মারধর করে আহত করেছে। কারণ আমার বড়ছেলে মোঃ সাদিকুর রহমান বদরুলের সাথে তাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে পূর্ব বিরোধ। তাদের একাধিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আমার ছেলে জীবন বাঁচানোর জন্য আজ দেশ পলাতক। আমি এবং আমার পরিবার প্রতিনিয়ত আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতংকিত থাকি। তারা প্রতিনিয়ত আমার বড়ছেলে মোঃ সাদিকুর রহমান বদরুলকে খুঁজতে বাড়িতে আসে এবং আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। তিনি আরো বলেন আমার বাড়িতে হামলার ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানায় গিয়ে হামলা কারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাইলে পুলিশ আমাকে কোনো আইনি সহায়তা করেনি বরং আমাকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে। কারণ হামলাকারীরা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী লোক, আমি হামলাকারীদের বিচার চাই।

অন্যদিকে হামলার বিষয়ে ১নং মোল্লারগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিফ খান এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি হামলার খবর শুনে সাথেসাথে ঐদিন রাতেই হাসপাতালে গিয়েছি তাদের দেখতে। এই হামলাটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত, হামলাকারী সকলেই আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী। আওয়ামিলীগ নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত বিএনপির নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের উপর নির্যাতন, হামলা করতেছে এবং ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে সকলকে বিভিন্ন মামলার আসামী করতেছে।

উল্লেখ্য, ছাত্রদল নেতা মোঃ সাদিকুর রহমান বদরুল যুবলীগ নেতা আবুল হোসেন হত্যা মামলার আসামী হয়ে তিনি দেশ পলাতক আছেন। এছাড়াও তিনি আরো একটি বিস্ফোরক মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী।