নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মুক্তির বাজারে সন্ত্রাসী হামলায় নির্মমভাবে খুন হয়েছেন যুবলীগ কর্মী আবুল কাশেম। গত মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাত ১০ ঘটিকার সময় মুক্তির বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল কাশেম বিশ্বনাথ উপজেলার তেলিকোনা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় আবুল কাশেম মুক্তির বাজারে তাহার নিজ দোকান বন্ধ করে বাজারের পূর্ব পাশে মর্ডান এন্টারপ্রাইজের সামনে আসা মাত্রই মোটর সাইকেল করে হেলমেট পরিহিত ৮-৯ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আবুল কাশেমের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন রক্তাক্ত আবুল কাশেম কে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার থাকে মৃত ঘোষণা করে। আবুল কাশেম হত্যার ঘটনায় পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আবুল কাশেম খুনের পরদিন বুধবার (২৬ অক্টোবর) নিহতের পিতা আব্দুর রহিম বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় ৯ (নয়) জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামী হলেন, সালাউদ্দিন রিমন, তালুকদার মোঃ গিয়াস, মুক্তার আলী, কয়েছ আহমদ সবুজ, আকতার আলী, তানিমুল ইসলাম, সাহেল শাহ, আবুল কালাম রুনু, মাছুম পারভেজ।
খুনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন নিহত আবুল কাশেমের খুনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, অতিসত্বর আসামীদের গ্রেফতার করা হবে। আসামীদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে খুনের বিষয়ে আমাদের সংবাদকর্মী আওয়ামিলীগ নেতা কবির আহমদ কুব্বারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন নিহত আবুল কাশেম যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিল। বিএনপির নেতা কর্মীরা থাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। আমি সকল আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।
অপরদিকে বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন যুবলীগ কর্মী আবুল কাশেম খুনের সাথে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। বরং আওয়ামিলীগের অভান্তরীণ কোন্দলে তাদের সন্ত্রাসীদের হামলায় নির্মম ভাবে খুন হয়েছে আবুল কাশেম। অযতা ষড়যন্ত্র করে বিএনপির উপর হত্যার ঘটনা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, যুবলীগ কর্মী আবুল কাশেমকে মুক্তির বাজারে মারাত্মক ভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। আওয়ামিলীগ নেতাদের দাবী হামলাকারী সন্ত্রাসীরা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। অন্যদিকে বিএনপির নেতাদের দাবী আবুল কাশেমকে তাদের দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে আওয়ামিলীগ কর্মীরাই খুন করেছে।
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302