
নিজস্ব সংবাদদাতা: সিলেটের শাহপরান থানাধীন কুশিঘাট শাহজালাল কমপ্লেক্সের সামনে সন্ত্রাসী হামলায় নির্মমভাবে খুন হয়েছেন যুবলীগ কর্মী জাকারিয়া মাহমুদ। গত মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর ) রাতে কুশিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাকারিয়া মাহমুদ শাহপরান থানাধীন কুশিঘাট এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৯ (নয়) ঘটিকার সময় জাকারিয়া মাহমুদ সিলেটের বন্দর বাজার হতে বাড়ি ফিরার পথে গাড়ি থেকে নেমে কুশিঘাট শাহজালাল কমপ্লেক্সের সামনে আসা মাত্রই মোটরসাইকেল করে হেলমেট পরিহিত বেশ কয়েকজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা জাকারিয়ার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় জাকারিয়াকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার থাকে মৃত ঘোষণা করে। জাকারিয়া মাহমুদ হত্যার ঘটনায় পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জাকারিয়া খুনের পরদিন বুধবার (১৬ নভেম্বর) নিহতের পিতা আবুল হোসেন বাদী হয়ে শাহপরান থানায় ৭ (সাত) জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামী সবাই বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। মামলার আসামী হলেন, দিলোয়ার হোসেন দিনার, এনামুল হক, জাসিম আহমদ রাফি, ফরহাদ আহমদ, আবু ইয়ামিন চৌধুরী, বদরুল আজাদ রানা, ইয়াছিন হোসেন জয় সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন।
খুনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের বিষয়ে শাহপরান থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন নিহত জাকারিয়া মাহমুদের খুনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, অতিসত্বর আসামীদের গ্রেফতার করা হবে। আসামীদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, যুবলীগ কর্মী জাকারিয়া মাহমুদকে কুশিঘাট এলাকায় শাহজালাল কমপ্লেক্সের সামনে মারাত্মক ভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। আওয়ামিলীগ নেতাদের দাবী হামলাকারী সন্ত্রাসীরা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। অন্যদিকে বিএনপির নেতাদের দাবী আওয়ামীলীগের দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে খুন হয়েছে জাকারিয়া মাহমুদ। তারা ষড়যন্ত্র করে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর দুশ চাপাচ্ছে।