
বড়লেখা প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার ঘোলসা গ্রামের মোঃ আব্দুল হক (৫০) নামক এক ব্যক্তি গত ৩দিন থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। ২০ নভেম্বর রবিবার বিকাল ৫টার দিকে স্থানীয় শাহবাজপুর বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ফিরে আসেন নাই। পরে পরিবার ও স্বজনরা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করেও তার আর কোন সন্ধান পায় নাই। নিখোঁজ মোঃ আব্দুল হক ঘোলসা গ্রামের মৃত সমছ উদ্দিনের পুত্র।
জানা যায়, মোঃ আব্দুল হক এর সাথে বাড়ির জমিজমা নিয়ে তার চাচাতো ভাই আলা উদ্দিনের বিরোধ ছিল। আলা উদ্দিন আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা হওয়ার সুবাধে এলাকায় ব্যাপক দাপট রয়েছে। সেই সুবাধে তিনি অন্যের ভূমি দখলসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড করিয়া আসিতেছেন। তার সন্ত্রাসী বাহিনী ও প্রভাবের কারনে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। এই অবস্থায় আলা উদ্দিন প্রায় দুই বছর পূর্বে তার বাহিনীর সন্ত্রাসীদের নিয়ে জোরপূর্বক মোঃ আব্দুল হক এর বাড়ির জমি দখল করে নেয়। মোঃ আব্দুল হক ও তার পুত্র আশরাফুল হক আল আমিন বাধা দিতে গেলে তাদেরকে মারধর করে আহত করা হয়। একপর্যায় মোঃ আব্দুল হককে স্বপরিবারে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। নিরুপায় হয়ে মোঃ আব্দুল হক স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে একই গ্রামে তার শশুবাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। আলা উদ্দিন ঘরবাড়ি ও জমি দখল করে নিলেও জমির মালিকানা কাগজেপত্রে মোঃ আব্দুল হকের নামেই রয়ে যায়। তাই এই জমি তার নামে রেজেষ্ট্রি করে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন আলা উদ্দিন। কিন্তু মোঃ আব্দুল হক কিছুতেই নিজ বাড়ির জমি রেজিষ্ট্রারি করে দিতে রাজি নয়। এতে করে আলা উদ্দিন তার উপর চরম ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন সময়ে হুমকী ধামকী ও নানাভাবে নির্যাতন করে।
ঘটনার দিন বিকাল ৫টার দিকে স্থানীয় শাহবাজপুর বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাহির হন মোঃ আব্দুল হক। রাত ১২টা হওয়ার পরও তিনি বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেন। কিন্তু তখন তার মোবাইল ফোনের সুইচঅফ পাওয়া যায়। এতে পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করেন। পরিবারের সদস্য এবং স্বজনরা মিলে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করেও তার আর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরদিন এই ঘটনার জন্য পবিারের পক্ষ থেকে বড়লেখা থানায় জিডি এন্টি করতে গেলে পুলিশ জিডি এন্টি গ্রহণ না করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে বলে জানায়।
মোঃ আব্দুল হক এর পরিবারের দাবী, আওয়ামী লীগ নেতা আলা উদ্দিনকে, মোঃ আব্দুল হক তার মালিকানাধীন জমি রেজিষ্ট্রি করে না দেওয়ায় তাকে গুম করা হয়েছে। তারা মোঃ আব্দুল হক এর প্রাণহানীর আশংকা করছেন ও তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শংঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।