নিজস্ব প্রতিবেদক : হবিগঞ্জ শহরের প্রানকেন্দ্র ৩ং ওয়ার্ডের শ্মশান ঘাট এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটি ৩য় তলা ভবন জোর পূর্বক দখলের খবর পাওয়া যায়। আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে জানা যায়, জিতেন্দ্র সূত্রধর দীর্ঘ দিন থেকে তার মালিকানাধীন রঞ্জনা ভবনে বসবাস করে আসছেন। হঠাৎ দেখা যায় বাসার মূল সাইনবোর্ড রঞ্জনা ভবন তুলে ফেলে বাইতুল উলুম নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। জিতেন্দ্র সূত্রধরের সাথে কথা বললে তিনি জানান দীর্ঘ দিন থেকে আমাদের পরিবারের উপর নির্যাতন করে আসছে হাবিব খান। প্রশাসন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের দারস্থ হয়েও আমি কোন বিচার পাইনি। ২০১৯ সালে হাবিব খান ও তার ক্যাডার বাহিনী আমার বাসায় হামলা করে এবং আমার স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে চিকিৎসাধীন মারা যায়। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা পর্জন্ত দায়ের করতে পারিনি।
বিগত ০৫/০২/২০২২ ইং তারিখে আমার ছেলে রাজীব সুত্রধরকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। একই দিন আমার ছোট ছেলে রাজেশ সূত্রধর নিখোঁজ হয়ে যায়, যার কোন সন্ধান এখনো পাইনি। পরের দিন জানতে পারি আমার দুই ছেলেকে আসামি করে একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেছে। তার ক্ষমতার মূল উৎস ছিল পৌর মেয়র আতাউর রহমান সেলিম। আতাউর রহমান সেলিম সম্পর্কে তার খালাতো ভাই। পৌর মেয়র আতাউর রহমান সেলিম ও ছিল হিন্দু নির্যাতন কারী । তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে কিছুদিন পূর্বে শ্মশান ঘাটের জায়গা দখল করে সেখানে তিনি মার্কেট নির্মাণ করেছেন।যা হবিগঞ্জের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। হাবিব খান আমার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বাড়িটি দখল করে এখানে মাদ্রাসা খুলেছে। হাবিব খানের সাথে কথা বললে তিনি জানান জিতেন্দ্র সূত্রধরের কাছ থেকে বাড়িটি ক্রয় করেছি। এবং বর্তমানে এখানে একটি মাদ্রাসা খুলেছি। বাড়ির দলিল আছে কি না জানতে চাইলে এখন ব্যস্ত আছি আর আপনার যদি কোন কিছু জানার থাকে তাহলে সরাসরি এসে দেখা করবেন বলেই কল কেটে দেন।