বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : সিলেটের বিয়ানীবাজারে রাস্তা মেরামত কাজের সরকারি টেন্ডার পাওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের বিবদমান স্থানীয় দুটি গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ১২ জন আহত ও ১ জন নিহত হয়েছে। ১০ জানুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ২টায় বিয়ানীবাজার উপজেলা কমপ্লেক্সের পাশে এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত মন্টু (৩০) পৌরসভার ফহেতপুর গ্রামের হারুনুর রশিদের পুত্র। এই ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, বিয়ানীবাজার পৌরশহরের ইনার কলেজ রোড মেরামতের সরকারি টেন্ডার পাওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের বিবদমান নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি গ্রুপ ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব গ্রুপের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সেই বিরোধের জের ধরে ঘটনার দিন বেলা ২টায় উপজেলা কমপ্লেক্সের গেইটের পাশে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা পাল্টা হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে প্রায় ১২ জন আহত ও মন্টু নামের এমপি গ্রুপের এককর্মী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে প্রেরণ করেছে।
এই ঘটনায় নিহতের পিতা হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে ১০জনকে আসামী করে বিয়ানীবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৭, তারিখ- ১১-০১-২০২৩ইং।
মামলার আসামীরা হলেন বিয়ানীবাজার উপজেলার দাসগ্রামের মিনহাজ মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫), ছোটদেশ গ্রামের হেলাল উদ্দিনের পুত্র বাতিন আহমদ (২৫), বড়দেশ গ্রামের মোঃ বাহার উদ্দিন এর পুত্র মোঃ আবু সালেহ (২৮), বড়দেশ গ্রামের বশির মিয়ার পুত্র আব্দুল মতিন (৩৭), খাসা গ্রামের মোহাম্মদ মকবুল মিয়ার পুত্র ইয়ামিন আহমদ (২৮), কসবা গ্রামের আব্দুস সামাদের পুত্র হাসান আহমদ (৩৬), ছোটদেশ গ্রামের ইরা মিয়ার পুত্র জাহেদ হোসেন (২৪), ছোটদেশ গ্রামের আব্দুল মালিকের পুত্র জাহিদ উদ্দিন (২১), খাসা গ্রামের হীরা মিয়ার পুত্র আব্দুল হাছিন (৪০) ও বড়দেশ গ্রামের আয়াজ আলীর পুত্র ফয়ছল আহমদ (২৩)।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ হিল্লোল রায় বলেন, সংঘর্ষে ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চলছে। আইনের হাত থেকে কোন অপরাধী রেহাই পাবে না।
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302