• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ-সাম্প্রদায়িকীকরণ বন্ধ করতে হবে: সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ২১, ২০২৩
শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ-সাম্প্রদায়িকীকরণ বন্ধ করতে হবে: সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট

একুশেনিউজ ডেস্ক : সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।২১ জনুয়ারি শনিবার বিকেল ৫টায় আম্বরখানাস্থ দলীয় কার্যালয়ে সামনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট মহানগর শাখার আহ্বায়ক সনজয় শর্মার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের মহানগর শাখার সাবেক আহ্বায়ক ও জেলা বাসদ সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল, ছাত্র ফ্রন্ট নগর শাখার মেহেদি আহমদ, এসডি আদি, আনোয়ার হোসেন, উত্তম সিনহা, নাদিয়া আক্তার মুন্নি, ঋত্বিক রোশন, পান্না বেগম, সিফাত আহমদ প্রমূখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৬২ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর আইয়ুব শাহীর শিক্ষা সচিব এস এম শরিফের শিক্ষা কমিশনে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর শিক্ষার সংকোচন নীতির প্রকাশ ঘটেছিল। কিন্তু স্বাধীনতার ৫১বছর পরও স্বাধীনদেশের শিক্ষানীতি পর্যালোচনা করলে এ সেই শিক্ষা সংকোচনের চিত্র দেখা যাবে।

১৯৭২ সালে কুদরত-ই খুদার নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষানীতি প্রণীত হয়। শিক্ষানীতির শুরুতে কিছু ভালো কথা থাকলেও শিক্ষা সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গি একই থেকে যায়। সেখানেও শিক্ষা সর্ম্পকিত বক্তব্য ছিলো শিল্পে মূলধন বিনিয়োগকে আমরা যে নজরে দেখি অনেকটা সেই নজরে শিক্ষা বাবদ অর্থ ব্যয়কে দেখার যৌক্তিকতা প্রতীয়মান হয়। অর্থাৎ শিক্ষাকে ক্রমাগত ব্যয়বহুল ও সংকুচিত করার উদ্দেশ্য নিয়েই এই শিক্ষানীতি তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে শিক্ষা সংকোচনের এই দৃষ্টিভঙ্গিতেই শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হয়, যার ধারাবহিকতা এখনও বিদ্যমান। এর সাথে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে শিক্ষা বাণিজ্যের নতুন নতুন নমুনা। বর্তমানে দেশের মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৯৫ ভাগই বেসরকারী।

শিক্ষার মর্মবস্তুকে ধ্বংস করে করা হচ্ছে সাম্প্রদায়িকীকরণ। প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী ও ৫০ লাখ শিক্ষক। এর প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনই আজ বির্পযস্ত ও অনিশ্চিত।

বক্তারা বলেন, আজকে এই অনিশ্চিত জীবন থেকে রক্ষা পেতে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিচ্ছে শির্ক্ষাথীরা। শিক্ষা উপকরণের দাম এবং খরচ বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে ব্যাপক শিক্ষার্থী ঝড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে, বেড়েছে বাল্যবিয়েও।

বিআইডিজি এর এক গবেষনায় এসেছে ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রচন্ড মানসিকচাপের মধ্য দিয়ে দিনযাপন করছে। অন্যদিকে শিক্ষাকে পণ্যে পরিনত করেছে, টাকা যার শিক্ষা তার এই নীতিতে চলছে শিক্ষাব্যবস্থা। এই নীতিতে যদি চলতে থাকে তাহলে অসংখ্য শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন থেকে ঝড়ে পড়বে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষা বাণিজ্য ও সংকোচন বন্ধ করতে হবে। শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার সাম্প্রদায়িকীকরণ ও বেসরকারীকরণ বন্ধ করতে হবে।