বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপড়া ইউনিয়নস্থ বিবিরাইবাজারে ‘‘মেসার্স খালেদ মটরস’’ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় দোকানের দুই কর্মচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১২ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকাল ৬টায় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আনা মিয়ার নির্দেশ ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১০/১২ জনের একদল ক্যাডার দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। পরে বাজারের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এসে দোকানের আহত দুই কর্মচারীকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছেন। হামলার সময় দোকান মালিক মোহাম্মদ খালেদ আহমদ দোকানে ছিলেন না। এই ঘটনার পর বিবিরাইবাজার এলাকায় আতংক বিরাজ করছে, হামলাকারীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দোকান মালিকের সন্ধান করছে।
জানা যায়, বিবিরাইবাজারের মেসার্স খালেদ মটরস এর পাশবর্তী একতলা একটি বিল্ডিং ক্রয় করাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি খালেদ মটরসের মালিক মোহাম্মদ খালেদ আহমদ এর সাথে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আনা মিয়ার বিরোধ দেয়া দেয়। তারা উভয়ে এই বিল্ডিংটি ক্রয় করতে চান। কিন্তু বিল্ডিংয়ের মালিকের সাথে মোহাম্মদ খালেদ আহমদ আগে থেকে কথাবার্তা ঠিক করে রাখায় মালিক বিল্ডিংটি তার কাছে বিক্রি করার ইচ্ছা জানান এবং আনা মিয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এতে করে আনা মিয়া মোহাম্মদ খালেদ আহমদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। ঘটনার দিন দুপুরে ঐ বিল্ডিংটি ভূমিসহ রেজিষ্ট্রি করে নেন মোহাম্মদ খালেদ আহমদ। এই খবর জানতে পেরে আওয়ামী লীগ নেতা আনা মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তিনি বিকাল ৬টার দিকে আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের স্থানীয় ১০/১২ জনের একদল ক্যাডার নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহ মোহাম্মদ খালেদ আহমদের দোকানে আসেন। তারা দোকানের ভিতর ঢুকে এলোপাতাড়ি হামলা ও ভাংচুর চালান। দোকানের মালামাল, আসবাবপত্র ও দোকান কক্ষে ব্যাপক ভাংচুর করেন। হামলাকারীরা এ সময় মোহাম্মদ খালেদ আহমদ কে না পেয়ে দোকান কর্মচারী সালেহ আহমদ ও রেজাউল আলমের উপর হামলা চালায়। তাদেরকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে। এই সময় পাশবর্তী দোকানের ব্যবসায়ীরা ছুটে এসে দোকান কর্মচারীদের উদ্ধার করেন। পরে তাদের দুজনকে আহত অবস্থায় বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর থেকে বিবিরাই বাজার এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। আনা মিয়ার বাহিনীর লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় মোহাম্মদ খালেদ আহমদের সন্ধান করছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। প্রাণের ভয়ে মোহাম্মদ খালেদ আহমদ দোকানে আসছেন না বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ হিল্লোল রায় বলেন, এই ধরনের কোন ঘটনার খবর আমরা পাইনি বা থানায় কোন অভিযোগও আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302