সিলেটে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ করেছে পুলিশ।শনিবার দুুপুরের দিকে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার সুবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ির একদল সদস্য কাজটি বন্ধ করে দেয়।
সরজমিনে দেখা ও জানা যায়, সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানাধীন মেন্দিবাগ এলাকার মৃত রহম উল্লাহর ছেলে মো. আখতার হোসেন তার ভাই আব্দুল মালিকের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধীয় ভূমিতে দালান তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে তিনি সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর এক আবেদনের উল্লেখ করেন, সিলেট সদরের সাদিপুর দ্বিতীয় খন্ড জেএল নং ৯৮, এসএ খতিয়ান নং ৫৩৩, এসএ ৫৯৮ দাগের ৭৮, ৭৬ ও ৭৭ ছিটা দাগের বিট রকম ভূমিতে দালান তৈরির কাজ শুরু করলে তিনি গত ১ ফেব্রুয়ারি আব্দুল মালিকের বিরুদ্ধে এই ভূমিতে কোন ধরনের কাজ করতে নিষেধাজ্ঞা জারির দরখাস্ত করেন। এই দরখাস্তের প্রেক্ষিতে আদালত মালিকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু এতে তিনি কোন সাড়া না দেয়ায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এই ভূমিতে যাতে তিনি কোন গৃহ বা স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারেন সেই নির্দেশনার জন্য আদালতে আরেকটি দরখাস্ত দায়ের করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন এবং এই ভূমিতে আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত কোন স্থাপনা নির্মাণ না করার নির্দেশ দেন।
আখতার হোসেন তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, আব্দুল মালিক আদালতের নিষেধের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে দ্রুত গতিতে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। তিনি এ ব্যাপারে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আহ্বান জানান।
তার এই আবেদনের প্রেক্ষিতে কোতোয়ালি থানার সুবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই কাজি রিপন সরকার শনিবার দুপুরে একদল পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে আখতার ও আব্দুল মালিককে ডেকে নিয়ে আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত এই স্থানে কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণে আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অবগত করেন। তিনি কাজ বন্ধ না করলে এবং শান্তিশৃঙখলা ভঙ্গ হলে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ গ্রহনেরও ঘোষণা দেন।
এমন নির্দেশের প্রেক্ষিতে আব্দুল মালিক গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আদালতের নির্দেশনা সম্পর্কে কিছুই জানতামনা। এখনই জানলাম।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আখতার বেঈমানী করে ভুল তথ্য দিয়ে আদালতকে বিভ্রান্ত করার মাধ্যমে এই স্থিতাবস্থা জারি করিয়েছে।
এ ব্যাপারে সুবাহনীঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই কাজি রিপন সরকার বলেন, আমি উভয়পক্ষকে ডেকে আদালতের নির্দেশনা দেখিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। এরপর যদি কেউ আইন অমান্য করেন তাহলে আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আখতার হোসেন বলেন, আব্দুল মালিক আমার ভাই। কিন্তু তিনি কিছুই বুঝতে চান না। আমি আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করব। কারণ, আমার ভাই আমার ভূমি দখলে নিয়ে নির্মাণ কাজ করতে চাইছেন।