স্টাফ রিপোর্ট:: দক্ষিণ সুরমায় এক শিবির নেতার বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর করা হয়েছে। এ সময় ওই শিবির নেতাকে না পেয়ে মা ও ভাইকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আজ সন্ধ্যায় নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ড শিবিরের সভাপতি আব্দুল মালিক খান ইমরানের নিজ বাড়ি কায়স্থরাইলের বারখলায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন শিবির নেতার ছোট ভাই আব্দুস সামাদ খান কামরান ও তার মা লায়লা খানম। আহতরা বর্তমানে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নামধারীরা শিবির নেতা ইমরানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও মারপিট করেন বলে অভিযোগ করেছেন ইমরানের আহত মা লায়লা খানম।
তিনি আরও জানান, তাদের উপর হামলার সময় পুলিশ ইমরানকে খুজতে আসেন তখন ২৫/৩০ জন লোক সাথে ছিলেন। পুলিশ যাওয়ার সাথে সাথেই জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে নানা ধরনের অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়িতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা । এ সময় ঘর ভাংচুরে ইমরানের মা ও ছোট ভাই কামরান বাধা প্রদান করলে হামলাকারিরা তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে যে, তোর ছেলে আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতির জনকের বিরুদ্ধে লেখালেখি করছে ও আরেক ছেলে দেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে। এসবের স্বাদ মিটিয়ে দিবো বলে লাঠিসোটা ও অন্যান্য দেশিয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে এবং বাড়ি ঘর পুড়িয়ে ফেলে প্রাণে হত্যার হুমকি প্রদান করে।
লায়লা খানম আরও জানান এর পূর্বে তার ছেলে ইমরানের উপর প্রতিশোধ নিতে ছোট ছেলে কামরানকেও মারপিট করে আহত করেছিল ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। এ ঘটনায় তিনি থানায় গিয়ে অভিযোগ দিলেও পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেনি।
সূত্রে জানা যায়, ২৫ নং ওয়ার্ড শিবিরের সভাপতি আব্দুল মালিক খান ইমরান দেশে থাকাকালীন সময়ে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৫ নং ওয়ার্ড জামাতের নেতা কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা চালান এবং বর্তমানে প্রবাস থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে লেখালেখি করছেন। যার ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় জনতা এ হামলা চালিয়েছেন।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আহমদ জানান, শিবির নেতা ইমরান বিদেশে বসে দেশের গণতন্ত্র বিনষ্ট করার লক্ষ্যে এবং জনসাধারণের কাছে বর্তমান সরকারের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করতে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আর তার ছোট ভাই কামরান দেশে থেকে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। তাই উৎসুক জনতা এ হামলা চালাতে পারে। সেখানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ বা অঙ্গ সংগঠনের কেউ জড়িত নয়।
দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনিসুর রহমান পিপিএম জানান, বারখলা এলাকায় বাড়িতে হামলা ও মারপিটের বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে কেউ অভিযোগ দিলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302