
কুলাউড়া প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার ছকাপন গ্রামের মৃত নিরধা চরন দাসের পুত্র রানা দাস গত ৬ মার্চ রাতে দুবৃর্তের হামলার শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ই মার্চ রোজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেলে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বৎসর। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
নিহতের পরিবারের সহিত যোগাযোগ করে আমাদের প্রতিনিধি জানতে পারেন যে, গত ৬ মার্চ একই গ্রামের রাধা মাধবের মন্দিরে বাৎসরিক লীলা কীর্ত্তনের অনুষ্টান থাকায় সে সুযোগে রাত অনুমান ২.৩০ ঘটিকার সময় রানা দাসের বাড়ীতে ডুকে অস্ত্রে মুখে রানা দাসের ছোট ছেলে টিপু দাস ও নয়ন দাসের স্ত্রী কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গোয়ালা থেকে ০৪টি গরু নিয়ে যাওয়ার সময় কীর্তন থেকে রানা দাস বাড়ী ফেরার পথে দুবৃর্তদের সাথে দেখা হয়। তখন তিনি দুবৃর্তদের সাথে একই গ্রামের দিলু মিয়ার মেয়ের জামাতা মনির মিয়া কে তাদের সাথে দেখতে পাইয়া তাহর নিকট গরু নিয়া যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা রানা দাসের উপর হামলা চালায়া রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় রানা দাসকে ফালাইয়া রাখিয়া চলে যায়। পরবর্তীতে রানা দাসের আরেক পুত্র নয়ন দাস রানা দাসকে ঘটনাস্থল হইতে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করিয়া হাসপাতালে নিয়া গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ই মার্চ দিবাগত রাতে তার মৃত্যু হয়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করিয়া নয়ন দাস বাদী হইয়া গত ১৫ই মার্চ মৌলভীবাজার আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে।