সিলেট নগরীর বাগবাড়িতে চাঁদা না দেয়া ও পূর্ব শত্রুতার জেরে মো.মুন্না ভূঁইয়া (৪২) নামে এক ব্যবসায়ীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাগবাড়ী বাজারস্থ ফরিদা বেগমের পানের দোকানের সামনের রাস্তায় উপর এ ঘটনা ঘটে। আহত মো.মুন্না ভূঁইয়া (৪২) ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আটলা গ্রামের আব্দুর নুর ভূইয়ার ছেলে।বর্তমানে তিনি কোতোয়ালী থানাধীন মজুমদারপাড়া রোড নং-০৪ তাবাসসুম ভিলার বাসিন্দা। এসময় ভুক্তভোগীর কাছ থেকে নগদ ১লাখ টাকা এবং মোবাইল ও স্বর্ণের ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন হামলার শিকার ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত মো.মুন্না ভূঁইয়া (৪২)।
বিবাদীরা হলেন-কোতোয়ালী থানার বাগাবাড়ি এতিম স্কুল রোডের ইন্তাজ আলীর ছেলে সুজন (২৫) ও জুম্মন (২২), একই এলাকার টিপুর ছেলে পারভেজ আহমদ(২৪), আনোয়ার হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন।
অভিযোগে মুন্না ভূঁইয়া উল্লেখ করে বলেন, আমি ব্যবসা করি। পক্ষন্তরে বিবাদীগণ একদলবন্ধ সন্ত্রাস চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। বিবাদীগণ বিভিন্ন সময় আমার নিকট চাঁদা দাবী করে আসছে। আমি তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বিবাদীগণ আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় বাগবাড়ী বাজারস্থ ফরিদা বেগমের পানের দোকানের সামনে রাস্তার উপর পৌঁছালে বিবাদীগণ পূর্বশত্রুতার জের ধরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহকারে আমার পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। আমি তার প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে এলোপাথারি কিল ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম করে।একপর্যায়ে ১নং বিবাদী হত্যার উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা ইট দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে এবং বাম গালে পড়িয়া রক্তক্ত জখম হয়।
তিনি আরও বলেন, ৩নং বিবাদী তার হাতে থাকা পাথর দিয়ে আমার ডান চোখে ঢিল মারে আমার চোখে গুরুতর জখম করে।এতে করে আঘাত পেয়ে মাটিতে পড়ে যাই। আমার সাথে থাকা বিয়ের কেনা কাটা করার জন্য নগদ ১ লক্ষ টাকা ২নং বিবাদী নিয়ে নেয়।৪নং বিবাদী গলায় থাকা আধা ভরি ওজনের ১টি স্বর্ণের চেইন এবং ১নং বিবাদী ১টি স্যামসাং গ্ল্যাক্সি এসএম মোবাইল সেট নিয়ে নেয়। এসময় আমি বাঁচার জন্য আর্তচিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের কলে বিবাদীরা আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণে হত্যা করবে মর্মে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
ব্যবসাীয় মুন্না ভূঁইয়া বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৭নং ওয়ার্ডে ভর্তি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এব্যাপারে বিবাদী সুজনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার বড় ভাই আব্দুল্লাহ কল রিসিভ করে বলেন,সুজন এখানে নেই।
অভিযোগের ব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে আমি অবগত নই।খোঁজ নিয়ে দেখছি।