সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শামীম আহমদ (২০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত সোমবার (১০ মে) ধরমপুর গ্রামের ব্রিজের নিচের খাল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শামীম আহমদ দোয়ারাবাজার উপজেলার ধরম গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে।
এঘটনায় নিহত শামীম আহমদের পিতা বাদী হয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন-দোয়ারাবাজার উপজেলার ধরমপুর গ্রামের আজির উদ্দিনের ছেলে সায়মন হোসেন, একই গ্রামের মো: শাহাজানের ছেলে মাছুম বিল্লাহ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ধরমপুর গ্রামের মানিক মিয়া সঙ্গে আসামিদের পূর্ব থেকে মাসুম অটো মেকানিক ওয়ার্কশপ দোকান ও জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার সূত্রপাতে এ হত্যাকান্ড চালানো হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে নিহত শামীম আহমদ এর পিতা আব্দুল খালিক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মানিক মিয়া একজন অসহায় লোক। আসামিরা দীর্ঘদিন হইতে তার জায়গা দখল করার পায়তারায় লিপ্ত ছিল। তিনি এবং তার ছেলে শামীম আহমদ মানিক মিয়াকে এ বিষয়ে পরামর্শ ও সাহায্য সহযোগিতা করিতেন। এই কারণেই মূলত তার ছেলেকে আসামিরা হত্যা করিয়াছে। তিনি আরো বলেন, ঘটনার পূর্বে আসামিদের সহিত তার ছেলের কথা কাটাকাটি হয় এবং তারা তাকে প্রানে মারার হুমকি দেয়।
এরই প্রেক্ষিতে গত ০৯ মে, রাত্রে শামীম আহমদ বাড়ি হইতে বাহির হইলে আর ফিরে আসেনি। পরের দিন ১০ মে, সকালে স্থানীয়রা ধরমপুর গ্রামের ব্রিজের নিচে তার লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে পরবর্তীতে ধরমপুর গ্রামে শামীমের মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়।
অপরদিকে, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ২নং আসামী মাছুম বিল্লাহ এর অটো মেকানিক ওয়ার্কশপ দোকানে আগুন দিয়ে জালিয়ে দেয়। এ সময় সমস্ত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার বিষয়ে দোয়ারাবাজার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শামীম হত্যার ঘটনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।