আজ সোমবার ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখে আপনাদের পত্রিকার শেষের পাতায় ‘লিডিং ইউনিভার্সিটির অর্থ আত্মসাৎ ও পেশাগত অসদাচারণের দায়ে রাজন দাস চাকুরীচ্যুত” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সর্বৈব মিথ্যা,মনগড়া,উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মানহানিকর। আমি এই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রকাশিত সংবাদে যে তথ্যগুলো দেওয়া হয়েছে তা ব্যক্তি আক্রমণ বৈ আর কিছু নয়৷ উক্ত প্রতিবেদনে অনুমোদনহীনভাবে ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থেকে কাজে ফাঁকি, পেশগত অসদাচারণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজের বিপরীতে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ, লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগ বন্ধের হুমকি প্রদানসহ প্রায় অর্ধডজন মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে৷ সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগদান করার ১৬ বছর পর আমার শিক্ষাজীবন নিয়ে মনগড়া তথ্যও দেওয়া হয়েছে৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে অর্থ সংক্রান্ত আমার সরাসরি কোনো যোগাযোগই নেই। বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ কাজ পরিচালিত হয় ক্যাম্পাস ডেভেলাপমেন্ট কমিটি (সিডিসি) এর মাধ্যমে, যার চেয়ারম্যান জনাব রাগীব আলী এবং অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য, ট্রেজারার, মরহুম মেজর জেনারেল (অব:) নাজমুল ইসলাম, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সচিব মেজর অব: শায়খুল হক চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশন, বিশেষজ্ঞ হিসেবে ড. জহির বিন আলম (প্রফেসর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, সাস্ট), ড. মোস্তাক আহমদ (প্রফেসর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, সাস্ট) স্থপতি হিসেবে মরহুম চৌধুরী মোস্তাক আহমেদ এবং আমি রাজন দাস৷ নির্মাণ সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত এই ফোরামেই হয় এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সিডিসি চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে হয়ে থাকে৷
দ্বিতীয় একাডেমিক ভবন ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে হোমল্যান্ড এন্টারপ্রাইজকে দেওয়া হয়েছিল। তাদের সাথে সিডিসি কর্তৃক অনুমোদিত দরপত্র অনুযায়ী চেয়ারম্যান জনাব রাগীব আলীর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ সম্পন্ন করে৷ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে প্রদত্ত প্রতিটি বিল একটি ‘বিল এভালুয়েশন কমিটি”র মাধ্যমে যাচাই করে তা হিসাবরক্ষণ অফিসে পাঠানো হয়, তারপর তা সিডিসিতে উত্থাপিত হয়৷ সেখানে অনুমোদিত হলে তা হিসাবরক্ষণ অফিস যাচাই বাছাই করে ট্রেজারারের কাছে পাঠানো হয়৷ ট্রেজারার তার পর্যবেক্ষণ দেওয়ার পর তা উপাচার্যের কাছে যায়৷ উপাচার্য অনুমোদন দিলে সেই বিল ট্রেজারার এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সচিবের স্বাক্ষরিত চেকের মাধ্যমে প্রদান করা হয়৷ এ বিল প্রদান প্রক্রিয়ায় আমার সরাসরি সংশ্লিষ্টতার কোনো সুযোগ নেই৷ এই প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত বিল প্রদান করা হয়ে থাকলে তা চেয়ারম্যানসহ সিডিসির প্রতিটি সদস্য সমভাবে দায়ী। বিল এভালুয়েশন কমিটির ৫ থেকে ৬ জন কমিটির আমি একজন এবং কখনই কনভেনার ছিলাম না৷ সেখানে কনভেনার হিসেবে পর্যায়ক্রমে মরহুম চৌধুরী মোস্তাক আহমেদ এবং ড. জহির বিন আলম ছিলেন৷ সুতরাং বিল এভালুয়েশন কমিটির কোনো দায় আমার একার উপর বর্তায় না৷ আমি ছিলাম মুলত ৩ সদস্য বিশিষ্ট ডিজাইন কমিটির তৃতীয় সদস্য এবং পুরো ভবনের সুপারভিশনে আমার অংশগ্রহণ ছিলো৷ বঙ্গবন্ধু চত্বরসহ জাতির পিতার ম্যুরালের কাজ, শহিদ মিনারের কাজ সিডিসির অনুমোদনক্রমে হোমল্যান্ড এন্টারপ্রাইজকে পুরনো চুক্তির আওতায় প্রদান করা হয়েছিলো৷ এসব কাজে ডিজাইনার হিসেবে কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই আমি যুক্ত ছিলাম৷
এ বিষয়ে গত ১২ মার্চ ২০২৩ তারিখে বর্তমান বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সচিব মো. লুৎফুর রহমান হোমল্যান্ড এন্টারপ্রাইজের মালিক ও ম্যানেজার এবং চৌধুরী সামস ওয়াহিদ (তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান, সিভিল এবং ডেপার্টি ইঞ্জিনিয়ার লিডিং ইউনিভার্সিটি), আমি রাজন দাস, রজত চক্রবর্তী (তৎকালীন ডেপুটি ডিরেক্টর, হিসাব রক্ষণ বিভাগ) এবং মেজর অব: শায়খুল হক চৌধুরীকে একটি ডাক মারফত চিঠি পাঠান, যেখানে বলা হয় লিডিং ইউনিভার্সিটিতে এ যাবৎকালে যত কনস্ট্রাকশন হয়েছে তাতে ১১,৪৯,৭৩,১৬০ টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে এবং তাতে উপরোক্ত ব্যক্তিবর্গ জড়িত বিধায় ১৪ দিনের মধ্যে সে টাকা ফেরত দিতে হবে, অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ তাতে আরো উল্লেখ করা হয়, এই অতিরিক্ত ব্যয় একটি ৭ সদস্য বিশিষ্ট এসেসমেন্ট কমিটির মাধ্যমে নিরুপন করা হয়েছে৷ উক্ত এসেসমেন্ট কমিটির সদস্যরা হলেন অমিত চক্রবর্তী (কমিটির কনভেনার ও সহকারী অধ্যাপক, সিভিল), চৌধুরী সামস ওয়াহিদ (তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান, সিভিল এবং ডেপার্টি ইঞ্জিনিয়ার লিডিং ইউনিভার্সিটি), মো. কবির আহমদ (হেড অব অডিট এন্ড একাউন্টস), মো. লুৎফুর রহমান (বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সচিব), সুমিত চক্রবর্তী (সহকারী প্রকৌশলী, বিদ্যুৎ), মো. শহীদুল ইসলাম (সহকারী ডিরেক্টর, হিসাব শাখা) এবং অরবিন্দ চক্রবর্তী (সদস্য সচিব, সহকারী প্রকৌশলী, সিভিল)।
লক্ষনীয় বিষয় হলো, এই কমিটি বিল পর্যবেক্ষণকালে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের কাউকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেনি৷ যেখানে কনভেনারসহ অন্য ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা ছিলো না বলে সবাই ধারণা করে কারণ যে রিপোর্ট উনারা প্রদান করেছিলেন তা ছিলো। দেশের নির্মাণকাজ সংক্রান্ত আইন বর্হিভূত৷ এই কমিটির টার্ম অব রেফারেন্সে লেখা ছিলো যে তারা রিপোর্ট তৈরি করে তা উপাচার্য সমীপে জমা দিবেন কিন্তু রহস্যজনক হলো তারা উপাচার্য মহোদয়কে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে উপরোক্ত ৬ জনকে 11,49,73,160 টাকা ১৪ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে চিঠিতে বলা হয়৷ আরও রহস্যজনক বিষয় হলো যে ৬জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তন্মোধ্যে উক্ত কমিটিরও একজন চৌধুরী সামস ওয়াহিদ (তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান, সিভিল এবং ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ার লিডিং ইউনিভার্সিটি) ছিলেন৷ এখন প্রশ্ন হলো যিনি রিপোর্ট তৈরি করলেন তিনি নিজে নিজেকে শাস্তি দেন কিভাবে? প্রকৌশলী হিসেবে তিনি যদি অভিযুক্ত হন, তাহলে অন্য দুজন ইঞ্জিনিয়ার যারা নির্মাণ কাজের সাথে জড়িত, তারা কিভাবে অভিযোগের বাইরে থাকেন? প্রকৃত সত্য হলো- এই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে মো. কবির হোসেন ও লুৎফুর রহমানের যোগসাজশে রাতের অন্ধকারে। বিশেষ দ্রষ্টব্য হলো এসেসমেন্ট কমিটি কেবল এসেসমেন্টই করবে, তদন্ত করার অধিকার এ কমিটির নেই। তাহলে কীভাবে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সচিব লুৎফুর রহমান হয়রানীমুলক এই চিঠি প্রদান করলেন? কার ইন্ধনে? এতে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে পিছনের কলকাঠি নাড়া সেই ব্যক্তিটি বনমালী ভৌমিক৷ কারণ তিনিই সেই ব্যক্তি, যিনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থেকে উৎকোচ আদায় করার জন্য এই কমিটির ফাঁদ পেতেছিলেন৷ টাকা ফেরৎ চেয়ে লুৎফুর রহমানের প্রদান করা এই চিঠিটি (Ref. LUS/VC/ 0017/07/2023 (11) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয় গত ১৩ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখে বাতিল করে লুৎফুর রহমানকে শোকজ প্রদান করেন৷ এতে তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০, এসেসমেন্ট কমিটির টার্ম অব রেফারেন্স এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৮ এর ধারা উল্লেখ করে বলেন যে, চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ‘সমাপ্তি সনদ’ দেওয়ার পর তার বিল বেশি হয়ে গেছে – তা বলার কোনো সুযোগ নেই৷
ক্যাম্পাসে অনুপস্থিতি ও বিধি বিধান না মানা সম্পর্কে যেসব তথ্য প্রদান করা হয়েছে তাও মিথ্যা ও মনগড়া। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের ১৬ বছর পর আমার পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কিত তৃতীয় বিভাগ নিয়ে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা নিছক মূর্খতার সামিল৷ সিজিপিএ কত পেলে কোন বিভাগ হয় সেটিই প্রতিবেদকের অজানা৷ আমি এরও তীব্র নিন্দা জানাই। আমি ১৯৯৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে সম্মিলিত মেধাতালিকায় ২০তম স্থান অধিকার করি, এইচএসসিতে স্টারমার্কস (৭৯১) পাই, বুয়েটের আর্কিটেকচারের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করি এবং সিজিপিএ ২.৬৮ (৪ এর মধ্যে) ৫৭% মার্কস পেয়ে ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচার ডিগ্রি অর্জন করি যা মানদণ্ড অনুযায়ী দ্বিতীয় বিভাগ সমমানের।
এছাড়াও আমার অন্যান্য অর্জনসমুহ হলো (১) কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার “সূর্যালোকে বর্ণমালা”র জন্য স্থাপত্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পদক আই এ বি এওয়ার্ড ২০২০, (২) সুইস আর্কিটেকচার মিউজিয়ামের উদ্যোগে “Bengal stream : the vibrant architectural scene of Bangladesh ” নামক এক্সিবিশনে ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় নির্মিত স্মৃতিসৌধ ” সবকটা জানালা খুলে দাও না” স্থান পায়, যা বাংলাদেশ থেকে বাছাই করা ৬০টি প্রকল্পের মধ্যে একটি, (৩) ২০১০ সালে ইন্টেরিয়র ডিজাইন প্রতিযোগিতা Ice Today – Aqua paint interior design award এ রেস্টুরেন্ট ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান লাভ করে উন্দাল রেস্টুরেন্ট, (৪) রাজন দাস বিভাগীয় প্রধান থাকা অবস্থায় লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগ Institute of Architects Bangladesh (IAB) এর accreditation লাভ করে, যা ঢাকার বাইরে অবস্থিত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ১৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগ এটি অর্জন করেছে। কিন্তু এ তথ্যগুলো প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি৷ এমনকি লিডিং ইউনিভার্সিটির ব্যতিক্রমধর্মী শহিদ মিনার ‘মা: অবাক আলোর লিপি’ নকশা তৈরির জন্য আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও স্মারক প্রদান করা হয়৷ যা সিলেটের ডাকসহ অন্যান্য জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়৷
আমি ২০০৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় স্থাপত্য বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি। তারপর দুই মেয়াদে প্রায় ৮ বছর বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করি৷ আমার প্রতিটি পদোন্নতি যথাযথ বোর্ডের মাধ্যমে অনুমোদিত হয়৷ আমি আই.কিউ.এ.সি (ইনস্টিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল) এর এডিশনাল ডিরেক্টর হিসেবে ২০১৫ সালে নিযুক্ত হই এবং ৪ বছর দায়িত্ব পালন করি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে স্থপতি হিসেবে আমি যে অবদান রেখেছি তার জন্য কোনো পারিশ্রমিক গ্রহণ করিনি৷ আমার বিভাগের স্থাপত্য শিক্ষার অনুকুল পরিবেশ নির্মাণে আমার ভূমিকা শুধু বিভাগের শিক্ষক ছাত্রছাত্রীরাই নয় দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যকলার শিক্ষকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. কাজী আজিজুল মওলা ইউজিসির অনুমোদন নিয়ে গত ৪ অক্টোবর একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগ দিতে ১৫ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে যান৷ তিনি কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে গেলেও ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়ে এখতিয়ার বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এবং বেআইনিভাবে আমাকে ১১ অক্টোবর 2023 তারিখে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে পরদিনই বরখাস্ত করেন৷ যদিও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইমেইলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য ড. কাজী আজিজুল মাওলা বরখাস্তের চিঠিটি খারিজ করে দেন৷
তাই প্রকাশিত সংবাদটি পুরোপুরি একতরফা এবং সাংবাদিকতার কোনো নীতিমালাই প্রকাশিত সংবাদে মানা হয়নি। এমনকি অভিযুক্ত হিসেবে আমার কোনো বক্তব্যও নেওয়া হয়নি, যা হলুদ সাংবাদিকতার নামান্তর মাত্র। আপনি সাংবাদিকতার সকল বিধি মেনে এই প্রতিবাদটুকু যথাযথ স্থানে প্রকাশ করবেন, অন্যথায় আমি যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো৷