• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জামালগঞ্জে ইউএনও’র নাম্বার ক্লোন করে ব্যবসায়ীর টাকা হাতিয়ে নিলো প্রতারকচক্র

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ২১, ২০২৩
জামালগঞ্জে ইউএনও’র নাম্বার ক্লোন করে ব্যবসায়ীর টাকা হাতিয়ে নিলো প্রতারকচক্র

জামালগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মোবাইল নম্বর (০১৭৩০৩৩১১১১) ক্লোন করে ও নাম ব্যবহার করে মো. মহরম আলী নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বিকাশের মাধ্যমে প্রতারকচক্র হাতিয়ে নিয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে প্রতারণার শিকার ওই ব্যবসায়ী।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, রোববার সকাল সাড়ে ১০ টায় জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী আমার মোবাইল নম্বরে ফোন করে জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদ রানা ত্রিশ টন জিআর চাল বিক্রি করবেন। আমি আগ্রহী থাকলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এই (০১৯৮৭৮৪৭৩১৫) নম্বরে যেন যোগাযোগ করি। পরবর্তীতে এই নম্বরে ফোন দেই, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিচয় দেয়ায় আমি চালের দরদাম করি। শেষে প্রতারকের দেওয়া বিকাশ নম্বরে তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা পাঠাই। টাকা পাঠানোর খবর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে জানালে, তিনি আবারও ইউএনও সাহেব কে ফোন দেন। ইউএনও সাহেব তাকে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। জিআর এর চাল বিক্রির জন্য কারো সাথে আমি কথা বলিনি, টাকাও চাইনি।’ পরে বুঝতে পারি প্রতারক চক্র সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে আমাকে ও সভাপতি মহোদয়কে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমি এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছি।

জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বললেন, ‘‘আমি  রোববার সকাল ৮টায় ঘুম থেকে উঠে দেখি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নম্বর থেকে একটি ফোন এসেছিল। তখন আমি কল ব্যাক করে জিজ্ঞাসা করি, ‘কি জন্য ফোন দিয়েছিলেন।’ ইউএনও পরিচয়ে ওপাশ থেকে বলে, ‘জিআরএর ৩০ টন চাল বিক্রি করবো, আপনার লোক থাকলে বলেন।’ তখন আমি বলি, ‘আমার ভাগ্না মহরম আলী চালের ব্যবসা করে।’ প্রতারক একটি নম্বর দিয়ে বলে, এটা পাসোর্নাল নাম্বার, উনাকে বলেন, এই নম্বরে যোগাযোগ করতে।’ আমিও আমার ভাগ্নাকে নম্বর দিয়ে ইউএনও স্যারের সাথে যোগাযোগ করতে বলি। কিছুক্ষণ পর আমার ভাগ্না জানায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা পাঠিয়েছে।

টাকা পেয়েছেন কী—না জিজ্ঞেস করতে ইউএনও মহোদয়কে ফোন দিলে তিনি বলেন, ‘কিসের টাকা। তখন আমি জিআর এর চাল বিক্রির কথা স্মরণ করিয়ে দিলে উনি অস্বীকার করেন। পরে বুঝতে পারি আমরা প্রতারকের খপ্পরে পড়েছি।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, মহরম আলীর প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে আমার নম্বরটি ক্লোন করা হয়েছে, না কী অন্য কোনভাবে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে, সেটি তদন্তের বিষয়। এ ব্যাপারে থানার ওসিকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলেছি।

জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দিলিপ কুমার দাস জানান, অভিযোগ  পেয়েছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। তিনি বলেন, যাচাই—বাছাই না করে বিকাশে টাকা পয়সা লেনদেন করা ঠিক হয়নি।