স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার নেতা ও মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা সমশির আলীর ছেলে মুহিবুর রহমান (২৫)-কে খুঁজছে পুলিশ। তাকে খুঁজে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের হয়রানি এবং আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ক্যাডাররা মুহিবুরের মা, ভাই ও পরিবারের লোকদেরকে প্রাণে হত্যার হুমকি এবং ঘরে ভাংচুরের অভিযোগ করেছেন মুহিবুরের মা।
মুহিবুর দীর্ঘদিন থেকে পলাতক রয়েছে, ফলে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়েও তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।
মোগলাবাজার থানা পুলিশ জানিয়েছে, বিএনপি নেতা মুহিবুরের বিরুদ্ধে সিলেটের বিভিন্ন থানায় নাশকতা, মারপিট, রাজনৈতিক সহিংসতা, হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগে একাধিক মামলা আছে। পুলিশের তালিকায় সে আত্মগোপনে রয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, মুহিবুরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দক্ষিণ সুরমা থানার মামলা নং-২০, তারিখ-১০/০৬/২০২২ইং, জিআর ১২৫/২০২২, ধারা : ১৪৭/১৪৮/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩০৭/৩০২/ ৪২৭/৩৪ দঃ বিঃ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ইলিয়াস শরীফ জানান, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে জননিরাপত্তা ও দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করা, ব্যক্তিসত্তা বা প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনসহ শেখ হাসিনা সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাত করার উদ্দেশ্যে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাই ওয়ারেন্টভুক্ত সকল পলাতক আসামীদের খোঁজা হচ্ছে।
মোগলাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম জানান, আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চালানো হচ্ছে। মুহিবুরের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। তাই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে তার বাড়ি ও সন্দেহজনক সকল এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।
আত্মগোপনে থাকা আসামী মুহিবুরের পরিবারের সদস্যরা জানান, মুহিবুর দীর্ঘদিন থেকে বাড়িতে নেই, একথা বলার পরও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাড়িতে এসে তল্লাশির নামে হয়রাণি করে এবং মুহিবুরকে এনে না দিলে বাড়িতে যারা থাকেন, তাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতারের হুমকী প্রদান করে। তবে পরিবারের লোকদেরকে হুমকী দেয়ার বিষয়টি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম ।
মুহিবুরের পরিবার আরও জানান, মুহিবুর দেশে থাকাকালীন সময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। ফলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ ক্যাডাররা একাধিকবার তাদের বাড়িতে এসে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে প্রাণে হত্যার হুমকি প্রদান করেছে। তাছাড়া গতকাল পুলিশের সাথে সাদা পোশাকে মুখ বাধা থাকা ৮/১০ যুবক তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ঘরে ভাংচুর চালায় এবং প্রাণে হত্যার হুমকি প্রদান করে।