• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শুধু এমপি-মন্ত্রী হলেই হয় না, পরিবর্তন আসে কর্মে: ব্যারিস্টার সুমন

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৯, ২০২৪
শুধু এমপি-মন্ত্রী হলেই হয় না, পরিবর্তন আসে কর্মে: ব্যারিস্টার সুমন

নুর উদ্দিন সুমন, হবিগঞ্জ : সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর এই প্রথম নিজ শহরের পরিত্যক্ত খোয়াই নদী পরিষ্কারে নেমেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এর মধ্য দিয়ে তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের কার্যক্রম শুরু করলেন।

শুক্রবার ১৯ জানুয়ারি সকাল থেকেই তিনি নিজের শহর হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণাচরণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন পরিত্যক্ত মরানদীতে জমে থাকা ৫০ বছরের আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ শুরু করেন। এতে সহায়তা করছেন বিডি ক্লিন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কয়েকশ কর্মী। কার্যক্রমের শুরুতে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, এটি খোয়াই নদীর অংশ বিশেষ। প্রায় ৫০ বছর আগে চুনারুঘাট শহরকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে এটির গতিপথ পরিবর্তন করা হয়। তখন থেকেই নদীর এ অংশটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। পুরাতন খোয়াই নদীর এ অংশটি ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়। অথচ এটি খুব সুন্দর একটি পর্যটনকেন্দ্র হতে পারত। কিন্তু ময়লার কারণে বোঝার কোনো অবকাশ নেই এটি কোনো নদী। তিনি বলেন, নদীটি পরিষ্কার করার মাধ্যমেই আমার কাজের যাত্রা শুরু করতে চাই। কারণ ময়লা পরিষ্কার না করলে হঠাৎ করেই সৌন্দর্যের বাণী দেওয়া যায় না। আমার স্বপ্ন হচ্ছে—এখানে দুপাশে ওয়াকওয়ে করব। নৌকা নামিয়ে দেব। এগুলো দিয়ে মানুষ ঘুরবে।

ব্যারিস্টার সুমন জানান, নদীটি পরিষ্কারে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিন প্রায় ৬০০ কর্মী দিয়েছে। তারা নদীটি পরিষ্কার করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। তাদের তিনি ধন্যবাদ জানান। চুনারুঘাট সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী সাংবাদিক মো: কামরুল ইসলাম জানান, চুনারুঘাট পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণাচরণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় লগ্ন মরা খোয়াই নদীর ব্রিজের দুই পারে ও মুক্তিযোদ্ধা ভবন সংলগ্ন ব্রিজের দুই পার ঘেঁষে নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে । এছড়াও মরা খোয়াই নদীর কয়েক কিলোমিটার কচুরিপানায় ভরে গেছে। সেই সঙ্গে ময়লা-আবর্জনা পানিতে মিশে প্রতিনিয়ত হচ্ছে পানিদূষণ। পোকামাকড় ও মশার উপদ্রব বেড়েছে নদীতীরবর্তী এলাকায়। স্থানীয়রা নদীর কচুরিপানা অপসারণ ও দূষণ রোধে দাবী জানিয়ে আসলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। অবশেষে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমন নদীটিকে পরিষ্কারে এগিয়ে আসলেন। নদীটি পরিষ্কার হলে চুনারুঘাট শহরের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে।

আমরা এ কাজের জন্য নবনির্বাচিত এমপি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে ধন্যবাদ জানাই। এর আগে হবিগঞ্জ-৪ আসনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন তার নির্বাচনী প্রচারের সময় বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ছিল বিজয়ী হয়েই স্থানীয় নদী পরিষ্কার করবেন তিনি। সংসদ সদস্য হিসেবে এক মাস না যেতেই সে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন কাজ করেছেন তিনি। এসময় এলাকাবাসী এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শত শত মানুষ চুনারুঘাট পৌর শহরে ভীড় জামায় এবং অনেকেই কাজে অংশগ্রহণ করেন ।