• ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বিয়ানীবাজারে ছাত্রদল নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের হামলা, ভাংচুর

admin
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪
বিয়ানীবাজারে ছাত্রদল নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের হামলা, ভাংচুর

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমানের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘আল মক্কা ফোন সেন্টার’ এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা জামাল হোসেনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একদল লোক অস্ত্রশস্ত্রসহ মিছিল সহকারে গিয়ে এই হামলা চালায়। দোকানের মালিক ছাত্রদল নেতাকে খুঁজে না পেয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাট করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। ৮ ফেব্রুয়ারী শনিবার রাত ৭টায় বিয়ানীবাজার পৌরশহরের সিটি সেন্টারে এই ঘটনাটি ঘটে। হামলাকারীদের আসতে দেখে ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, রাজনৈতিক পূর্ব বিরোধের জের ধরে ঘটনার দিন রাত ৭টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা জামাল হোসেনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ক্যাডার রাসেল, সাফি, আলী হোসেন সহ একদল লোক মিছিল সহকারে সিটি সেন্টারের আল মক্কা সেন্টারে যায়। মিছিল সহকারে তাদেরকে আসতে দেখে গোপনে দৌড়ে পালিয়ে যায় দোকানের মালিক ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান। সন্ধান করে তাকে না পেয়ে দোকানের ভিতর এলোপাতাড়ি হামলা করে ছাত্রলীগের লোকজন। তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে দোকানের ভিতর এলোপাতাড়ি ভাংচুর করে ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তারা প্রকাশ্যে হুমকী দিয়ে যায় আব্দুল্লাহ আল নোমানকে যখন যেখানে পাবে সেখানেই খুন করবে বলে। ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান উপজেলার খাসাড়িপাড়া গ্রামের আব্দুল মালিকের পুত্র। এই ঘটনায় সিটি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের দাপটের ভয়ে কেউ কোন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।

এ বিষয়ে এই প্রতিবেদক মুঠোফোনে ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের আসতে দেখে আমি পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। তারা আমাকে হত্যা করতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসেছিল। মহান আল্লাহর দয়ায় এই যাত্রায় রক্ষা পেয়েছি। তারা আমার দোকান ভাংচুর করে মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। আমাকে পেলে হত্যা করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকী দিয়ে গেছে। আমি জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আতংকিত।

এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেব দুলাল ধর বলেন, দোকানে হামলার বিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ না পেলে পুলিশ কি করবে বলুন?