স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার দেউতান জলমহালের ইজারা পেতে নীতিমালা ভঙ্গ করে তড়িঘড়ি বিলের পাশে অফিস ঘর নির্মান করার অভিযোগ উঠেছে এক মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে।
জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের গোলামীপুর গ্রাম সংলগ্ন দেউতান বিল ইজারা পেতে তড়িঘড়ি করে বিলের পাড় অফিস ঘর নির্মাণ করা হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো মাসুদ রানা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন আব্দুল মালিক নামে এক ব্যক্তি। যার অনুলিপি দেয়া হয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাকে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত ১৪২৮-৩০ বাংলা ইজারা সনে গোলামীপুর শাহাপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ইজারাপ্রাপ্ত হয়ে মাছ আহরণ করে আসছে। চলতি বছর সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ফেব্রুয়ারী মাসের ২ তারিখ নতুন করে দরপত্র আহবান করলে জলমহালের নিকটবর্ত্তী একাধিক সমিতি দরপত্রে অংশগ্রহণ করায় একতা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির মাঝে অস্বস্থি ও অস্থিরতা দেখা দেয়। তাই তাদের ইজারাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সমিতির সদস্যরা এক রকম মরিয়া হয়ে উঠেন এবং বিজ্ঞপ্তির ৭ দিন পর তারা তড়িঘড়ি করে অফিস ঘর নির্মাণ করেন। জলমহালের ইজারা পাবার আগেই ইজারাদারের ভূমিকায় স্থাপনা নির্মান করার রহস্য কারো বোধগম্য নয়। সমবায় সমিতির ইজারা প্রাপ্তির প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে এরকম অগ্রিম তৎপরতা একটা বিতর্কিত বিষয়।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে এসময় বিলের পাড়ে নতুন মাটি ফেলে নতুন ঘর নির্মাণ করার সত্যতা মেলে। উপজেলা প্রশাসন থেকে দেউতান জলমহালের ইজারা দরপত্র আহ্বান করা হওয়ার পর পরই বিলের বর্তমান ইজারাদার গোলামীপুর শাহাপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লি. এবং নতুন করে নির্মাণকৃত একতা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লি. দরপত্রে অংশগ্রহণ করেন।
কিন্তু দরপত্র উন্মুক্ত (চূড়ান্ত) করার আগেই একতা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির অফিস বাস্তবে না থাকলেও দরপত্র আহবানের পর পরই জলমহাল নীতিমালা ভঙ্গ করে একতা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লি. নতুন করে বিলের পাড় অফিস ঘর নির্মান শুরু করেন।
এব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো মাসুদ রানা বলেন, এব্যাপারে আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।