একুশে নিউজ ডেস্ক : দেশের অন্যতম বুদ্ধিমান, দেশপ্রেমিক, প্রজ্ঞাবান, নির্ভোল, ত্যাগী, মানবদরদী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রয়াত অধ্যাপত মোজাফফর আহমদ হাজারো অনুকরনীয় রাহজনৈতিক দুষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। ১৯৭১ সালে ২৫ শে মার্চ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে অন্তরীন হলে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ সুচারুরুপে মুক্তিযোদ্ধে রনাঙ্গনে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান করেন। ১৯৭১ সালে মে মাসে ন্যাপ কমিউনিষ্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের ১৯ হাজার গেরিলা বাহিনী গঠন তাদের সশস্ত্র ট্রেনিং প্রধানের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ছিলেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ। ৭১ এর ১০ ই সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ২৬তম অধিবেশনে ১৬ সদস্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ। ১৯৫৪ সালের ১১ মার্চ প্রদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হয়ে কুমিল্লার দেবিদার আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ। ১৯৫৫ সালের ৩১ শে মে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ সংখ্যা-সাম্যের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ। ১৯৫৭ সালে ৩রা এপ্রিল পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদে দেশরক্ষা, পররাষ্ট্রনীতি ও মুদ্রা এই বিষয় কেন্দ্রের হাতে রেখে যাবতীয় ক্ষমতা প্রদেশের হাতে অর্পনের ভিত্তিতে পূর্ব বাংলা স্বায়ত্বশাসনে ঐতিহাসিক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ। ১৯৬৯ সালে ১০ শে মার্চ আইয়ুব খান রাওয়াল পিন্ডিতে রাজনৈতিক নেতা যে বৈঠক ডাকেন সে বৈঠকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ আমন্ত্রিত হয়ে যোগদান করেছিলেন। ১৯৮৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ দলীয় মার্কা কুড়েঘর প্রতীক নিয়ে দেবিদার আসন থেকে সংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ন্যাপ, সিপিবি ও প্রগতিশীল শক্তির প্রার্থী হিসেবে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ দলীয় কুড়েঘর মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। তিনি ঢাকার অদুরে মদনপুরে “সামাজিক বিজ্ঞান পরিষদ” নামে একটি প্রশিক্ষন কেন্দ্র গড়ে তুলেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ। উনার রচিত গবেষনালব্দ অনেক বই আছে। অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের দর্শন, ‘ধর্ম, কর্ম, গণতন্ত্রের নিশ্চয়তা সহ সমাজতন্ত্র’ এই নেতার আদর্শ যুগ যুগ করে নেতাকর্মীদের প্রেরণা যোগাবে। উনার আদর্শ লালন করতে পারলে প্রকৃত রাজনীতিক হওয়া সম্ভব। বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী ২য় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। ১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ মানুষের আত্মত্যাগ ও ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাঙ্গালী জাতি স্বাধীনতা লাভ করে। মহান নেতা প্রয়াত অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের বর্ণাট্য রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতির প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস অমর হোক।

মোঃ আব্দুল ওদুদ
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)
কেন্দ্রীয় কমিটি
ও
সভাপতি
ন্যাপ সিলেট জেলা কমিটি।

ও

মোঃ আফতাব মিয়া
সাধারণ সম্পাদক
ন্যাপ সিলেট মহানগর কমিটি।

ও

হারাধম নম
সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ)
ন্যাপ কেন্দ্রীয় কমিটি
ও সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক
ন্যাপ সিলেট জেলা কমিটি।

মোঃ তোতা মিয়া
সভাপতি
ন্যাপ সিলেট মহানগর কমিটি

ও

বীর মুক্তিযুদ্ধা গোপাল রঞ্জন দেব
সভাপতি
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)
সুনামগঞ্জ জেলা কমিটি।

নইম উদ্দীন
সাধারণ সম্পাদক
ন্যাপ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটি।

বার্তাপ্রেরক
হারাধম নম
সাংগঠনিক স¤পাদক (সিলেট বিভাগ)
ন্যাপ কেন্দ্রীয় কমিটি
ও সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক ন্যাপ সিলেট জেলা কমিটি।
০১৭১২-১৫২৯৭০
২৬.০৩.২০২৪