নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার অন্তর্গত রায়গড় গ্রামে স্বর্না রানী দেব নামের এক তরুণীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। নিহতের পিতা প্রদীপ কুমার দেবের সাথে কথা বললে তিনি জানান যে, আমাদের পার্শ্ববর্তী মোহাম্মদ দুলু ইসলামের ছেলে নাবিদ ইসলাম বিগত ০১ জুন ২০২২ইং তারিখে আমার মেয়েকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। তারপর থেকেই আমার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে।
মারা যাওয়ার দুইদিন আগে আমার মেয়ে গোপনে ফোন করে তাকে যে সব সময় নির্যাতন করে সেই কথা জানিয়ে ছিল। আমার মেয়েকে এক মূহুর্তের জন্য ঘরের বাইরে আসতে দিতো না কান্নাজড়িত কন্ঠে কথা গুলো আমাকে বলেছিল। আমার মেয়েকে মোহাম্মদ দুলু ইসলাম ও তার ছেলে হত্যা করে লাশটি গলায় রশি লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছে বলতেছে। আমি আমার মেয়ের লাশ দেখতে গেলে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে বার বার আমাকে মারার জন্য ধেয়ে আসে। নিরুপায় হয়ে মেয়ের লাশ না দেখেই চলে আসি।
মোহাম্মদ দুলু ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন যে আমার ছেলে ভালবেসে মেয়েটিকে বিয়ে করেছিল। এবং তারা অনেক সুখে শান্তিতে ছিল। হঠাৎ মেয়েটির যে কি হল কিছুই বুঝতে পারিনি, কেনই বা গলায় রশি দিয়ে আত্নহত্যা করতে হল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রায়গড় গ্রামের একজন জানান দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘ দিন থেকেই ঝামেলা চলে আসছিল গত বছর জন্মাষ্ঠমী উপলক্ষে র্যালিতে সংঘর্ষে মোহাম্মদ দুলু ইসলামের ভাতিজা সাজু ইসলাম মারা যায় এবং সেই মামলায় প্রদীপ কুমার দেবের দুই ছেলেকে আসামি করা হয়। তাদের সন্ধানের জন্যই মেয়েটিকে প্রায় সময় নির্যাতন করা হত।