
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানাধীন বাদে ভূকশিমইল গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা মো: কামরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করেছে বিএনপি, জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। গত ৬ আগষ্ট বিকেলে ছাত্রলীগ নেতা মো: কামরুল ইসলামের বাড়ি বাদে ভূকশিমইল গ্রামে এঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর বিএনপি-জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা একযোগে সারাদেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর,করে। এরই ধারাবাহিকতায় ছাত্রলীগ নেতা মো: কামরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ঘটনা ঘটে।
খবর নিয়ে জানা যায়, গত ০৬ আগস্ট সোমবার বিকেলে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী রূপে ছাত্রলীগ নেতা মো: কামরুল ইসলামের খুঁজে তার বাড়িতে যায়। এ সময় তারা তাকে বাড়িতে না পেয়ে তার ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করে তছনছ করে। ছাত্রলীগ নেতা মো: কামরুল ইসলাম কুলাউড়া উপজেলার বাদে ভূকশিমইল গ্রামের মোঃ জহিরুল ইসলামের ছেলে। মো: কামরুল ইসলাম কুলাউড়া উপজেলার ২নং ভূকশিমইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শুধুমাত্র ছাত্রলীগের রাজনীতি করার অপরাধে তার বাড়িতে এ অতর্কিত হামলা ও ভাংচুর করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ছাত্রলীগ নেতা মো: কামরুল ইসলামের উপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীদের হাতে ধারালো দেশীয় অস্ত্র ছিলো। এসময় তারা চিৎকার দিয়ে মো: কামরুল ইসলামকে খুঁজিতে থাকে।
ঘটনার বিষয়ে মো: কামরুল ইসলামের বাবা মো: জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিএনপি- জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। আমার ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় এ হামলা ও ভাংচুর করে। ছাত্রলীগের রাজনীতির প্রতিহিংসার জেরে আমার বাড়িতে হামলা করে বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করে তারা। প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে নানাভাবে হুমকি ধামকি ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।