• ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ছাতকে আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুর

admin
প্রকাশিত আগস্ট ৭, ২০২৪
ছাতকে আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুর

ছাতক প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা এসব নেতাকর্মীর বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা ভাংচুর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা জানান গণঅভুত্থ্যনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন স্থানের ন্যায় ছাতকেও হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলার শিকার ক্ষতিগ্রস্থ একাধিক নেতা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। কেউ আবার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধীরা বিভিন্ন স্থানে দলবেধে গিয়ে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে।

জানা গেছে-গত দুই দনে একাধিক নেতাকর্মীর বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা, ভাংচুর ও লুট করা হয়েছে। এরমধ্যে ছাতকে হামলার শিকার ও ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা পরিষদের বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ফজলুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুরাদ হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা ও উত্তর খুরমা ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন, ছাতক উপজেলা যুবলীগের সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জাউয়া বাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গৌছুল হক নাইম, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের অর্থসম্পাদক আবু সুফিয়ান সুফি, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা নোমান আহমদ রাসেল প্রমুখ। এরমধ্যে মুরাদ হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্টান, জাহাঙ্গীর আলমের কপলা গ্রামের বাড়িতে ও আবু সুফিয়ানের নুরপুর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করা হয়। অপর নেতাদের মধ্যে গৌছুল হক নাইমের জাউয়া বাজারের দোকান, ফজলুল হকের গোবিন্দগঞ্জের বাসা ও ব্যবসায় প্রতিষ্টানসহ অন্যদের বিভিন্ন দোকান ভাংচুর করা হয়। এসব নেতাদের স্বজনদের উপরও হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।

হামলার বিষয়ে জানতে একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে ছাতক থানার ওসি শাহ আলম জানিয়েছেন সরকার ৫ আগস্টের পর অনেক নেতাকর্মীর বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে লোকজন হামলা ও ভাংচুর করেছে। পুলিশ চেষ্টা করছে এসব রোধ করতে। ক্ষতিগ্রস্থ কোনো নেতাকর্মী বা তাদের স্বজনরা কোন অভিযোগ করেন নি বলে জানান ওসি।