
সিলেটের নগরীর বন্দরবাজার এলাকার ছাত্রজনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, এমপিসহ ১৪ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত (২০ আগষ্ট ২০২৪) তারিখে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ম আমলী আদালত মামলাটি দায়ের করেন দক্ষিণ সুরমার বানেশ্বরপুর গ্রামের মৃত আওর আলীর পুত্র মুজিবুর রহমান। মামলায় ১৪ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০/২৫০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় আসামীরা হলেন ১. আসাদুজ্জামান খান কামাল, পিতা-আশরাফ আলী খান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ২. ড. এ. কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, গণপ্রজতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ৩. এম.এ মান্নান, পরিকল্পনামন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ৪. মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৫. আব্দুল বাসিত রোমান, সাবেক সভাপতি, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ ৬. শিহাব শাহিন, পিতা-আজমত আলী, ১৪নং ওয়ার্ড, সিলেট সিটি ৭. সারওয়ার জাহান সুমন, সাংবাদিক, পিতা-আশিক আলী, ঠিকানা-ছৈলা, থানা-ছাতক, জেলা-সুনামগঞ্জ, ৮। তামান্না বেগম, ছাত্রলীগ নেত্রী, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ, ৯. ফজলুর রহমান, পিতা-শামীম রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা ১০. আবুল হাসনাত, পিতা-এখলাছ আলী, গ্রাম-রামনগর, থানা-ছাতক, জেলা-সুনামগঞ্জ, ১১. আপ্তাব হোসেন খান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি, কাউন্সিলর, ৭নং ওয়ার্ড, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, সিলেট, ১২. পীযূষ কান্তি দে, পিতা-ননী গোপাল দে, সহ-সভাপতি, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, সাং-নবীন-৩, ভাঙ্গাটিকর, ১২নং ওয়ার্ড, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, ১৩. সাজলু লস্কর, পিতা-আব্দুস সালাম লঙ্কর, পিএস, মেয়র, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, সাং-শাহজালাল উপশহর,সিলেট, ১৪, রোহেল আহমদ, পিতা-ফিরোজ মিয়া (সাবেক মেম্বার), সভাপতি, সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ, কাউন্সিলর, ৩২নং ওয়ার্ড, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, সিলেট, সাং-পূর্ব ভাটপাড়া, মেজরটিলা, থানা-শাহপরাণ (রহঃ), জেলা-সিলেট, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-সিলেট সহ অজ্ঞাতনামা ২০০/২৫০ জন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, বৈষম্যবিরোধীছাত্র-জনতার আন্দোলনে ছাত্রজনতার উপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে আদালতে মামলা তদন্ত চলছে। আসামীদের গ্রেফতার পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।