একুশে নিউজ ডেস্ক : ফুলবাড়ী দিবসে উপলক্ষে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতয়ি কমিটি সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১২টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পুষ্পস্তবক অর্পণকালে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় কমিটি সিলেট জেলা সদস্য সচিব এডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন, বাসদ জেলা আহ্বায়ক আবু জাফর, কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ আহমদ, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান, সাম্যবাদী আন্দোলন জেলা সদস্য এডভোকেট রণেন সরকার রনি,বাসদ(মার্ক্সবাদী) জেলা সদস্য সঞ্জয় কান্ত দাশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক বুশরা সোহেল, পিনাক রঞ্জন দাস, প্রমূখ।
পুষ্পমাল্য অর্পণের পর সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ফুলবাড়ী চুক্তির ৬ দফার পূর্ণ বাস্তবায়ন আজও হয়নি ।ফুলবাড়ী গণআন্দোলনের ১৮ বছর পার হলেও এখনো এশিযা এনার্জিকে বহিস্কার করা হয়নি। উল্টো আন্দোলনকারীদের নামে একাধিক মামলা করা হয়েছে। বক্তারা অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, ফুলবাড়ী চুক্তিতে দেশে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তেল নিষিদ্ধ থাকার পরও দেশের বর্তমান বিদ্যুৎ সংকটে দেশ-বিদেশের ‘কয়লা ব্যবসায়ী’ ও কমিশন এজেন্টরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এসব বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
বক্তারা ,দেশের জাতীয় সম্পদ সমূহের উপর শতভাগ মালিকানা নিশ্চিত করে দেশের স্বার্থে সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের দাবি জানান।
এসময় শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন ও শহীদদের রেড স্যালুট জাননো হয়।
উল্লেখ্য, জমি, জলা, পানি, জনপদ, পরিবেশ ধ্বংস করে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে খনি বাস্তবায়নের প্রস্তাবকারী এশিয়া এনার্জি নামে একটি বহুজাতিক কোম্পানীর ফুলবাড়ীস্থ অফিস ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে গেলে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিছিলের উপর টিয়ারশেল ও গুলিবর্ষণ করে। তরিকুল ইসলাম, আল আমিন ও সালেকিন নামে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। একই ঘটনায় আহত হয় আরো তিন শতাধিক মিছিলকারী। এদের মধ্যে বাবলু রায় নামে একজন চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করেন। এরপর ফুলবাড়ীবাসীর টানা চারদিনের গণআন্দোলনের মুখে ৩০ আগস্ট, তৎকালীন সরকার ফুলবাড়ী বাসির সঙ্গে ছয় দফা শর্তে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। যা ফুলবাড়ী ছয় দফা চুক্তি বলে পরিচিত। এরপর থেকে দিনটিকে ফুলবাড়ী দিবস হিসেবে পালন করে আসছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংগঠন।