
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লাউয়াই রেল গেইট এলাকার ছাত্রজনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, এমপিসহ ৯৪ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত (১৪ সেপ্টেম্বর) সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ম আমলী আদালত মামলাটি দায়ের করেন দক্ষিণ সুরমার বানেশ্বরপুর গ্রামের মৃত আওর আলীর পুত্র মুজিবুর রহমান। মামলায় ৯৪ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় আসামীরা হলেন হাবিবুর রহমান হাবিব, আবু জাহিদ, মতিউর রহমান মতি, বদরুল ইসলাম, তাকবিরুল ইসলাম পিন্টু, জবরুল ইসলাম জগলু, (অরুন দেবনাথ সাগর, জাকির হোসেন, লাহিন আহমদ, তোয়াজিদুল হক তুহিন, আতিকুল হক, লোকমান আহমদ, মোঃ খুবাইব মিয়া, মুহিদ হোসেন, জাবেদ আহমদ মেম্বার, নিজাম উদ্দিন, বশির মিয়া, আহসান আহমদ জাবেদ, বিদরুল ইসলাম তুহিন, আব্দুল হক, শেখ মো: সাব্বির আলী, হেলাল মিয়া, সোনা মিয়া, ওয়াহিদুল ইসলাম, ফাহিম আহমদ, মুমিন আহমদ, মিছবাহ মিয়া, এমদাদ আহমদ, আব্দুল জলিল, রানা মিয়া রুনু, শেখ আল আমীন, আশিক আলী, আমির হোসেন দেলওয়ার, ফয়ছল আলম, আব্দুস সালাম টিপু, শামিম আহমদ, জুনেদ আহমদ, জাহেদ আহমদ, শিমুল আহমদ, জাহিদ আহমদ, জামাল উদ্দিন, তৌফিক বক্স লিপন, জয়নাল আবেদীন ইমন, রুমেল আহমদ, রোসন মিয়া মেম্বার, ময়না মিয়া, আশিক মিয়া, আরব আলী, আহমদ আলী, হারুন মিয়া, মনসুর আহমদ চৌধুরী, শাহজাহান আহমদ, বেলায়েত হোসেন, লায়েক আহমদ, মালিক মিয়া, মোঃ মিছবাহ উদ্দিন, আব্দুল আওয়াল টিপু, সাহেদ মিয়া, হেলাল আহমদ, আজিমুর রহমান, আব্দুল মান্নান, রিয়াজ মিয়া, ধন মিয়া, নিজাম উদ্দিন, মাহফুজ আহমদ, নানু মিয়া, সেলিম মিয়া, আবজল হোসেন, মামুন আহমদ ইমরান, রনি, রকিব, তাহসিন আহমদ দীপ, সিতার মিয়া, ইসলাম উদ্দিন, আব্দুল কাদির ছাদেক, তাজ উদ্দিন, বেলাল আহমদ, সামছুল ইসলাম, মামুন আহমদ, ফরহাদ আহমদ, ওয়েস আহমদ আব্দুস সালাম, জাকির হোসেন, শাহনুর আলী, মাহফুজ আহমদ, সানোয়ার হোসেন সালিম, নুুরুল ইসলাম, তাহের আলী, লয়লু মিয়া, মোঃ নুরুজ্জামান, আজিজুর রহমান, তাজুল ইসলাম সহ অজ্ঞাতনামা ২০০/৩০০ জন।
মামলার অভিযোগে মামলার বাদী উল্লেখ করেন, গত ৩ আগষ্ট দুপুর ১টায় রেলগেইট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচী চলছিল। সেই সময় আসামীগণ একদলবদ্ধ অস্ত্রধারী মাস্তান, চাঁদাবাজ, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, দাঙ্গাবাজ, ছিনতাইকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের এবং তাহার অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পদধারী কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক বন্দুক, পিস্তল, কাটা রাইফেল, ককটেল-হাতবোমা,দা-কুড়াল-লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্র জনতার আন্দোলনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশনায় ওপর অভিযুক্তরা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। তারা নিরস্ত্র ছাত্র জনতার ওপর দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। আন্দোলনরত ছাত্র জনতার ওপর গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও কতেক অজ্ঞাত পুলিশ অফিসার হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ২০০/৩০০ জন ছাত্রজনতার ওপর তারা ঝাপিয়ে পড়ে। তখন উল্লেখিত আসামিদের কয়েকজন তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যাযজ্ঞ চালায়। রামদা-চাইনিজ কুড়াল দিয়া এলোপাতাড়িভাবে গলিতে আশ্রয় নেওয়া নিরীহ ছাত্রজনতাকে কুপাইতে থাকে তাদের হাতে থাকা অস্ত্রের গুলিতে ছাত্র জনতার ৩৫/৪০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হয়ে আহত হয়। তাৎক্ষনিকভাবে আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেওয়া হয়।