
ছাতক উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন সম্প্রতি বিএনপি নেতা মিজান চৌধুরীর সাথে সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় থেকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগ দেয়ার মাধ্যমে হয়ে গেলেন ছাত্রদল নেতা, আওয়ামিলীগ সরকার পরিবর্তনের পরবর্তী ৫ আগস্টের পরপরই তার এই যোগদানকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। মামুন রাতারাতি এভাবে দলবদল করে ছাত্রদল নেতা বনে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে এবং এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক তোলপাড় চলছে।
যেই মামুন মাত্র কিছুদিন পূর্বেই আওয়ামিলীগ থেকে নিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী নেতাদের সাথে ছবি তোলা, বৈঠক করা, সম্মেলনে যোগদানসহ একাধিক প্রমাণ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাছাড়া অতীতে ছাত্রলীগে সক্রিয় থাকা অবস্থায় মামুনের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগও উঠেছিল। এ কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে এমন একজনকে কীভাবে ছাত্রদলে সুযোগ দেওয়া হলো?
এই প্রসঙ্গে জাউয়া বাজার কলেজ শিবিরের নেতা রুমান আহমেদের একটি ফেসবুক পোস্ট আরও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। পোস্টটিতে মামুনের অতীত কার্যকলাপ নিয়ে সমালোচনা করা হয়।
অন্যদিকে ছাতক-দোয়ারা আসনের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মিজান চৌধুরীর সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,
মামুন ছাত্রলীগে থাকলেও খারাপ কাজে জড়াননি। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর আগেই তিনি ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করেন। এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন এবং ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করে ছাত্রদের আন্দোলনে সক্রিয় থাকার কারণে সে আহত হয়, তাই বর্তমানে তার ছাত্রদলে যোগ দিতে কোনো সমস্যা নেই।
মামুনের এই দলবদল নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ একে স্বাভাবিক রাজনৈতিক পালাবদল বলে মনে করলেও অধিকাংশরাই সমালোচনা করছেন অতীতের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাকে নতুন দলে স্থান দেওয়ার কারণে।