• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বরাবরে সিলেট কল্যাণ সংস্থার স্মারকলিপি প্রদান

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২০, ২০২৪
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বরাবরে সিলেট কল্যাণ সংস্থার স্মারকলিপি প্রদান

একুশে নিউজ ডেস্ক : বৃহত্তর সিলেটের অরাজনৈতিক কল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সিলেট কল্যাণ সংস্থা (সিকস), সিলেট বিভাগের যুব সংগঠন, আত্মকর্মী ও বাংলাদেশ প্রেমী সৃষ্টিশীল যুবদের সমন্বয়ে এ প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক যুব সংগঠন সিকস’র অঙ্গ সংগঠন সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা (সিবিযুকস) এবং বাংলাদেশী প্রবাসীদের সবধরনের দাবী উপস্থাপনের বলিষ্ঠ অরাজনৈতিক সংগঠন সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা (সিপ্রকস)-এর যৌথ আয়োজনে জাতীয় যুব দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ২০ অক্টোবর রোববার বেলা ১১.৩০ ঘটিকায়জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরকে যুববান্ধব ও দালাল মুক্ত করার দাবীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা (মাধ্যমঃ জেলা প্রশাসক, সিলেট) বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

জাতীয় যুব দিবস-২০১০ এ জাতীয় যুব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীতে যুবপ্রেমী সমাজ সচেতন নাগরিকদের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন, সিলেটী সচেতন নাগরিক সমাজ’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোঃ আমিনুল ইসলাম ডিনেস, মোঃ শাহাআলম, রাধিকা রঞ্জন পাল ছাবুল, দিলীপ কুমার বর্মন, নেছার আহমদ নেছার, আলী নূর, সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ মুখতার আহমেদ তালুকদার, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আল-আমিন আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান, সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ আশরাফ উদ্দিন, সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমদ, সিসিক ৩৯ ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মহসিন তালুকদার, সিবিযুকস’র সিলেট মহানগর কমিটির সভাপতি জাকারিয়া মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সাকের, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম শিতাব, মোঃ জয়নাল আবেদীন, শাহরিয়া হাসান, মোঃ আব্দুল আলী, জাকির হোসেন, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোঃ আতাউর রহমান ও ইকবাল হোসেন।

স্মারকলিপির বিষয়বস্তুঃ হযরত শাহজালাল (রহঃ) ও হযরত শাহপরাণ (রহঃ) এর আধ্যাত্মিক স্মৃতি বিজড়িত পূর্ণভূমি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর বৃহত্তর সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে দেশ পরিচালনায় অন্তবর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পাওয়ায় আপনাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের নতুনভাবে পথচলা শুরু হয়। ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জন্য হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও সার্বজনীন শান্তি আবার ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই শান্তিকে অস্থিতিশীল করতে একটি কুচক্রীমহল সবসময়ই অপচেষ্টায় লিপ্ত। এদেরকে প্রতিহত করতে সর্বস্তরের ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, সিন্ডিকেটবাজ, পণ্যের অনাকাঙ্খিত মজুদদার ও অধিক মুনাফাখোরদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে ঘোষনার দাবি জানাই। যুবদের আত্মনির্ভশীল ও গঠনমূলক অবস্থানে প্রশিক্ষিত ব্যক্তি হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার প্রাণকেন্দ্র যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। এই অধিদপ্তরকে নির্দিষ্ট কিছু দালাল শ্রেনীর অসাধু ও কুচক্রীরা ঘিরে রেখেছে। অথচ সেই অধিদপ্তর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যেভাবে কাজ করার কথা সেভাবে কাজ হয় না। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর নির্দিষ্ট দালাল দ্বারা পরিচালিত হয়। গুটিকয়েক স্থানীয় দালাল যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। যার কারণে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যেভাবে প্রচার হওয়ার কথা সেভাবে প্রচার হয় না। মূলত যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যুবদের একটি প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হওয়া কথা কিন্তু নির্দিষ্ট স্থানীয় দালালদের কারণে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কার্যক্রম যুবকেন্দ্রিক না হয়ে ব্যক্তিকেন্দ্রীক অবস্থানে পৌঁছেছে। তারা প্রশিক্ষণে লোক নিয়োগ, ঋণ প্রদান, সাংগঠনিক অনুদান প্রদান, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার প্রাপ্তি সহ সর্বাস্থায় কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে কাজ করে যাচ্ছে। যার কারণে যুবসমাজ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কার্যক্রম সম্পর্কে বেগাফিল রয়ে যাচ্ছেন। সর্বোপরি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের দালালদের কারণে যুবরা বিভিন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রায় কার্যালয়ে দীর্ঘদিন থেকে কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এক জায়গা চাকুরি করে যাচ্ছেন। তারা বিভিন্ন মহলের ছত্রছায়ায় একই জেলা বা উপজেলায় কর্মরত আছেন। এতে স্থানীয়ভাবে দালাল শ্রেনীর ব্যক্তিরা প্রভাব খাটিয়ে চলেন। এতে যুব সমাজ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম থেকে দুরে সরে যাচ্ছেন। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরকে যুববান্ধব ও প্রশিক্ষণের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিণত করতে আপনার দৃঢ হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অচিরেই যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরকে পূর্ণ যুববান্ধব ও দালালমুক্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।