স্টাফ রিপোর্টার : দেশে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপর দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ কলেজ ছাত্রদল ও স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
রবিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় গোবিন্দগঞ্জ কলেজ থেকে মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে নানা কটুক্তিমুলক বক্তব্য দেওয়া হয়। এর জের ধরে স্থানীয় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা প্রতিবাদ করলে তাদের উপর হামলা করে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা এসে সমন্বয়ক নেতাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আসাদ উল্লাহ গালিব।
মামলার বর্ণনা থেকে জানা যায়, বিএনপি দ্রæত নির্বাচন চায়। এ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি মিছিল-মিটিং করছে। দেশব্যাপী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে শীঘ্রই নির্বাচনের ব্যবস্থা করে যেকোন মূল্যে ক্ষমতায় যেতে চায় বিএনপি। এ নিয়ে বিভিন্নস্থানে সরকার বিরোধী বক্তব্য দিয়ে জনমনে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বিএনপি। বিদেশ থেকে তাদের দলের নেতাকর্মীরা অর্থ দিয়ে সাহায্য করছে। তাদেরকেও মামলার আসামী করা হয়েছে।
তারই অংশ হিসেবে গোবিন্দগঞ্জে মিছিল ও সমাবেশ করে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।এক পর্যায়ে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনুস ও দায়িত্বরত সকল উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে নানা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন। অধ্যাপক ইউনুসকে সুদখোর ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যার্থ দাবি করে অনতিবিলম্বে বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান। এসময় বক্তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে দাবি করে পুলিশ ও সেনাবাহিনী দায়িত্বপালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে উল্লেখ করে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করেন।
তখন খবর পেয়ে সমন্বয়ক আসাদ উল্লাহ গালিব, সহ সমন্বয়ক সানজিদ আলম, রুবেল আহমদ বিজয় ও ফরহাদ রেজা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সরকাবিরোধী বক্তব্য বন্ধ করার অনুুরোধ করেন। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পতনের পর বিভিণœ মহল দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে উঠেপড়ে লেগে আছে। তাই দেশের স্বার্থে সরকার বিরোধী এসব ষড়যন্ত্র বন্ধ করার অনুরোধ জানান। সমন্বয়কদের নির্দেশ না মেনে তাদের উপর হামলা করার নির্দেশ দেন সিনিয়র নেতারা। এসময় মামলার বাদী, সহ-সমন্বয়ক সানজিদ আলম, রুবেল আহমদ বিজয়, ফরহাদ রেজা আহত হন। তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিতসা প্রদান করা হয়।
মামলার আসামীরা হলেন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও ছাতক উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফারুক আহমদ, বিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন, মামুন শিকদার, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবু হুরায়রা সুরত, যুবদল নেতা ইমরান আহমদ, ছাত্রদল নেতা আবুল বাশার, আসাদুজ্জামান শিহাব, নুরে আলম শাহিন, সোহান আহমদ, গোবিন্দগঞ্জ কলেজ ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক তারেক আহমদ, বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম, হাবিব মিয়া, আফছর খান, সাহেদ আলী, গোবিন্দগঞ্জ কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আলী রেজা, সহ-সভাপতি জুয়েল আহমদ, সাধার সম্পাদক সাহেদ ইয়াছিন, ছাত্রদল নেতা মাসরুর আহমদ, যুবদল নেতা বাদশা আলমগীর, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিয়া আলমগীর সহ অনেক। এসময় নেতাকর্মীরা রাস্তায় আগুন ধরিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং রাস্তায় লম্বা ট্রাফিক সৃষ্টি করে জনভোগান্তি সৃষ্টি করে।
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302