• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সমাজ সংস্কারে মাদক ও অপরাধ নির্মূলে আল-আক্বসা ফাউন্ডেশনের প্রথম উদ্যোগ

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ১০, ২০২৪
সমাজ সংস্কারে মাদক ও অপরাধ নির্মূলে আল-আক্বসা ফাউন্ডেশনের প্রথম উদ্যোগ

একুশে নিউজ ডেস্ক : মাদক ও অপরাধ নির্মূলে গ্রামবাসীর বৈঠক, স্বেচ্ছাসেবী টহল জোরদার স্থানীয়ভাবে মাদক ও অপরাধ নির্মূলে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জ এলাকার মোল্লাগ্রামে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার রাত ৮টার দিকে গ্রামের পুরাতন জামে মসজিদের বারান্দায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি ইসকন্দর আলীর সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক আব্দুল খালিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রামে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপরাধ চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন- আতিকুর রহমান আতাই, হেতিমগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমদ সেলিম, হেতিমগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন আনা, গিয়াস মিয়া, ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান, ৩নং ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ৪নংওয়ার্ড সদস্য মুজিবুর রহমান দুলাল, এম. মামুনুর রশিদ মামুন, সাবেক ইউপি সদস্য সেলিম আহমদ রনি, শামীম আহমদ শাহিন, মিজানুর রহমান ও রফিক আহমদ।

বক্তারা বলেন, গ্রামে সম্প্রতি দুই দফা চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রথম দফায় একরাতে চার বাড়িতে ঢুকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে চোরেরা। এর একদিন পরই ফের চুরির ঘটনায় ৩টি গরু হারান আব্দুল জলিল জলু। এছাড়া, গভীর রাতে গ্রামের ভিতর বহিরাগতদের গমনাগমন ও মাদকদ্রব্য সেবন-বিক্রির বিষয়টি ইদানিং পরিলক্ষিত হচ্ছে। গ্রামটি বাজার কেন্দ্রিক হওয়াতে অপরাধীরা সহজে যেকোনো অপরাধ করে গ্রামের ভিতর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাছাড়া, গ্রামের বুক চিরে প্রবাহিত সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কেও কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে এর জন্যও গ্রামের মান-সম্মান ক্ষুণ্ন হয়। এসব অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ লক্ষ্যে বাজারের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোকে নিয়ে আগামীকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে হেতিমগঞ্জ বাজারের সুরমা ডেকোরেটার্সের সামনে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। ওই বৈঠকে সবাইকে উপস্থিত থাকার আহ্বানও জানান বক্তারা।

বৈঠকের শেষাংশে মাদক ও অপরাধ নির্মূলে করণীয় ঠিক করা হয়। গ্রামের তিনটি সড়কে স্বেচ্ছাসেবী টহলটিম জোরদার করা হয়।
অপরাধীদের অনতিবিলম্বে ভালো হওয়ার সুযোগ, অন্যথায় পুলিশে সোপর্দের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রাত ১০টার পর থেকে গ্রামের ভিতরে বহিরাগত কাউকে দেখা গেলে তার পরিচয় ও গন্তব্যস্থল জানার চেষ্টা করা এবং গন্তব্যস্থলের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে যোগাযোগ করে আগমনের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সন্দেহভাজন কাউকে পেলে সাথে সাথে ইউপি সদস্যকে অবগত করা বাধ্যতামূলক করে বৈঠকটি সম্পন্ন করা হয়।

এসময় মোল্লাগ্রামের প্রবীণ মুরব্বি ছালেক আহমদ, চুনু মিয়া, আব্দুল হাই শিফা, শাহাব উদ্দিন, বিরাই মিয়া, আব্দুস সামাদ, আতিকুর রহমান, এনাম উদ্দিন, কবির আহমদ, হাফিজ সাহেদ আহমদ, ফারুক আহমদ, আব্দুল কাইয়ুম, আজাদ আহমদ-সহ গ্রামের প্রায় শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।