সিলেট নগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন খাস দবীর এলাকার মৃতঃ হাজী মুসলিম আলীর ছেলে সৈয়দ আমজাদ আলী কতৃক আপন বোনকে হয়রানির করে পৈত্রিক সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায় সৈয়দ সাহিদা আলী জুঁই তার আপন ভাই আমজাদ আলীর আপন বোন। তারা দুই বোন ও দুই ভাই। আমজাদ আলীর বাবা মৃতঃ মুসলিম আলী বিগত ২০২২ সালে মৃত্যু বরন করেন। মৃত্যুর আগে তিনি তাহার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বিগত ৩০ সেপ্টেম্বর ৭৮৮৪-CIII-৩০ রেজিষ্ট্রেশন দলিলে অছিয়তনামা দলিলে পৃথক পৃথক চৌহাদ্দা, দাগ, খতিয়ান উল্লেখ পুর্বক ৪ সন্তানের মধ্যে স্বত্ব দখল বুঝাইয়া দেন। এতে সন্তানদের মধ্যে কোন আপত্তি ছিল না।
উল্লেখিত ভুমিঃ জেলাঃ সিলেট, থানাঃ এয়ারপোর্ট, উপজেলাঃ সিলেট সদর, মৌজাঃ আম্বরখানা, জেএলনং-এস,এ ৯২, বিএস ৭৪ স্থিত, ছাপা ২৫২, ও নামজারী ১৫৮২ নং খতিয়ানের অন্তর্গত এসএ ২১০ নং দাগের ভুমি যার বিএস, ডিপি ২৮৪১ নং খতিয়ানের অন্তর্গত বিএস ১৬৬৫ দাগে ০.০৮২০ একর এর অর্ধেকাংশ।
বর্তমানে সাহিদা আলীর অন্যান্য ভাই ও বোন প্রবাসে থাকার সুবাদে ভাই আমজাদ আলী তার প্রাপ্য পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য নানান কূটকৌশল অবলম্বন করেন।
বিভিন্ন সময় পিতার দেওয়া অছিয়তনামা সাহিদাকে স্বাক্ষর করার জন্য বল প্রয়োগ করে ব্যর্থ হয়ে তাকে নানান ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। এতে নিরুপায় হয়ে তিনি স্থানীয় মুরব্বিয়ান ও প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দায়ের করে।
সৈয়দা সাহিদা আলী জানান, যায়, তিনি একজন স্বামী ডির্ভোসী মহিলা। নগরীর সুবিদ বাজার এলাকায় একটি ভাড়াটিয়া বাসায় আত্মীয় স্বজনদের সহযোগিতায় ভাড়া থাকেন। আমার মেয়ে সাবা হোসেন বুশরা দীর্ঘদিন ধরে ব্রেইনে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। ১৬ বছরের এক ছেলে। এমতাবস্থায় তাদের চিকিৎসা ভরনপোষণ ও বাসা ভাড়া দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব হওয়ায় আমি আমার পৈতৃক ভিটায় অবস্থান করতে চাইলে আমার আপন ভাই আমাকে বাধা দেন।
পরর্তীতে আমার মেয়ে চিকিৎসার জন্য জৈনক ব্যক্তির নিকট আমি আমার প্রাপ্য সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য কথাবার্তার মাধ্যম কিছু টাকা বায়না নেই। পরে বায়না অনুযায়ী জায়গা বুঝিয়ে দিতে ক্রেতাকে নিয়ে গত জুলাই মাসের ৯ তারিখ সকাল ১০টায় আমার পিত্রালয়ে যাই। এসময় আমার ভাই উত্তেজিত হয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে আমাকে ও আমার জায়গার ক্রেতাকে প্রানে হত্যার জন্য হামলা করে। আমাদের শোর চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান।
তিনি আরো জানান,আমার ভাই আমজাদ আলী আমাকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য আমি ও সোহান আহমদ (জায়গা বিক্রির মিডিয়া) কে অভিযুক্ত করে গত ০৪ নভেম্বর সিলেটের মাননীয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। যা এয়ারপোর্ট বিবিধ মামলা নং- ৪১/২০২৪ ইং।
এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে আমজাদ আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এব্যাপার সৈয়দা সাহিদা আলী নিজে ০৩ ডিসেম্বর পুলিশ কমিশনার ও সেনাবাহিনীর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি তাহার পৈত্রিক সম্পত্তি ভাইয়ের জবরদখল হইতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302