
ছাতক প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জামাল হোসেন যুক্তরাজ্য থেকে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস ও বিএনপি জামায়াত সংগঠনের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে লেখালেখি ও উসকানিমূলক পোস্টের জেরে ছাত্রলীগ নেতা জামাল হোসেনের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করেছে ছাত্রদল, জামায়াত শিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর বিএনপি-জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা একযোগে সারাদেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও হামলা করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিকালে ছাত্রলীগ নেতা জামাল হোসেনের চেচান গ্রামের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
জামাল হোসেন ছাতক উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের চেচান গ্রামের মোঃ মোশারফ হোসেনের পুত্র।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে জামাল হোসেন প্রতিনিয়ত অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস ও বিএনপি জামায়াত সংগঠনের বিরুদ্ধে লেখালেখি উসকানিমূলক পোস্ট করে আসছে। তার ফেইসবুকে পোস্টের জেরে ছাত্রদল, জামায়াত শিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে তার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। শুধুমাত্র ছাত্রলীগের রাজনীতি করার কারণে তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। কেউ আবার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। বিএনপি জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধীরা বিভিন্ন স্থানে দলবেধে গিয়ে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে।
জামাল হোসেনের বাবা মোঃ মোশারফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার প্রবাসী ছেলে ছাত্রলীগের করার কারণে আমার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে ছাত্রদল, জামায়াত শিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা তাকে বাড়িতে না পেয়ে তার ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করে ও বাড়ির জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। হামলাকারীদের হাতে ধারালো দেশীয় অস্ত্র ছিলো, তারা চিৎকার দিয়ে বলে জামালা হোসেনকে খুঁজে পেলে তারা প্রাণে মেরে ফেলবে। বর্তমানে জামাল হোসেনের পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে জীবনযাপন করিতেছেন। তিনি আইনশৃঙ্খলার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সহযোগীতা কামনা করেন।
এ বিষয়ে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন ৫ আগস্টের সরকার পতনের পর অনেক নেতাকর্মীর বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে লোকজন হামলা ও ভাংচুর করেছে। এসব রোধ করতে পুলিশ চেষ্টা করছে।