
অবিলম্বে কালাগুল,ছড়াগাঙ, বুরজান, বুরজান (ফ্যাক্টরী) বাগানের শ্রমিকদের ১২ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি , রেশন প্রদান এবং চা শ্রমিকদের ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে (৭ মার্চ) শুক্রবার বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে লাক্কাতুরা, রেস্টক্যাম্প বাজার, বিভাগীয় স্টেডিয়ামের টিকেট কাউন্টার এর সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে জেলা শাখার সভাপতি বীরেন সিং এর সভাপতিত্বে ও শিপন পাল এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা উজ্জ্বল রায়, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার সভাপতি আবু জাফর,সাধারণ সম্পাদক প্রণব জ্যোতি পাল,চা শ্রমিক নেতা হৃদয় লোহার, আমেনা বেগম,জরিনা বেগম,শয়ন সিং, প্রমূখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন দীর্ঘ ১২ সপ্তাহ যাবৎ সিলেটের কালাগুল,বুড়জান,ছড়াগাঙ,বুড়জান (ফ্যাক্টরী) চা বাগানের শ্রমিকরা মজুরি থেকে বঞ্চিত, ৬ সপ্তাহের রেশন থেকে বঞ্চিত, সহস্রাধিক চা শ্রমিক পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ভূক্ত ভোগী শ্রমিকরা ইতিমধ্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ-পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে অথচ মালিকপক্ষ নির্বিকার, প্রশাসন নীরবতা পালন করছে। ৫ আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর, সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে শ্রমিকরা। কয়েকমাস পূর্বে এনটিসির বাগানেও একই সমস্যা হয়েছিল, আন্দোলনের কারণে কিছু দাবি আদায় হলেও সমস্যা দূর হয়নি। সামনে বর্ষাকাল বাগানে পাতা উত্তোলনের সময় এরকম সময়ে শ্রমিকরা মজুরি থেকে বঞ্চিত হলে বাগানে কাজ করতে আগ্রহ হারাবে, যা বাগান বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করবে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে কালগুল,ছড়াগাঙ, বুরজান, বুরজান (ফ্যাক্টরী) বাগানের শ্রমিকদের ১২ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি ও রেশন প্রদান ও শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত ১১ দফা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।অন্যথায় সকল বাগানের শ্রমিকদের সাথে নিয়ে বাগানে কর্মবিরতী, রাজপথে অবস্থান সহ জোড়ালো আন্দোলনের ঘোষণা প্রদান করেন।