• ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

জগন্নাথপুরে ভাইদের হাতে বড় ভাই গুরুতর যখম

admin
প্রকাশিত মার্চ ৭, ২০২৫
জগন্নাথপুরে ভাইদের হাতে বড় ভাই গুরুতর যখম

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি : জগন্নাথপুরে পূর্ব আক্রোশের জেরে বড় ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর যখম করেছে আপন ভাইয়েরা। ৬ মার্চ ২০২৫ বুধবার বেলা ১২.১০ মিনিটের দিকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর হাড়িকোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সৈয়দ আব্দুল মুক্তাদির (৪৫) পিতা মৃত সৈয়দ আব্দুল মহসিন। তার শশুরের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত মালিকানা নিয়ে দ্বন্দের জেরে ভাই ও গোষ্ঠীর লোকদেরদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত ঝামেলা চলে আসছিলো। বিষয়টি নিয়ে ৫ মার্চ রাতে তাদের গোষ্টী ভিত্তিক মিটিংয়ে কথা-কাটাকাটি ও মারামারি হলে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততায় ঝগড়া থেমে যায়। পরদিন দুপুরে মুক্তাদির পাশের বাড়ির পুকুরে গোসল করতে গেলে তার অন্যান্য ভাইয়েরা ও গোষ্ঠীর লোকেরা একত্রিত হয়ে তার উপর হামলা চালায় সৈয়দ আব্দুল কুদ্দুস (৩০) পিতা মৃত সৈয়দ আব্দুল মহসিন, সৈয়দ ইমন মিয়া (২২) পিতা মৃত সৈয়দ আব্দুল মহসিন, সৈয়দ সুমন মিয়া (২৬) পিতা মৃত সৈয়দ আব্দুল মহসিন ও সৈয়দ আব্দুল খালিস সহ অন্যান্যরা হামলা করে। এসময় ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হলে গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় তাকে সিলেট এম, এ,জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।

গ্রামের মানুষের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৈয়দ আব্দুল মুক্তাদিরের শশুর ছালিক মিয়ার মৃত্যুর পরে তাদের বাড়ি ও স্কুলের মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। তার শশুরের পরিবারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করলে মুক্তাদির তার বাড়িতে তার শাশুড়িকে আশ্রয় দেয়। এবং সে এই বিষয়টি নিস্পত্তি করার জন্য চেষ্টা করলে তার গোষ্ঠীর লোকেরা ও তার ভাইয়েরা তার উপর ক্ষ্যাপা ছিলো।

প্রত্যক্ষদর্শীর আব্দুল আলি জানান, যখন মুক্তাদিরকে মারা হচ্ছিলো তখন আশেপাশের অনেক লোক ছিলো। তারা ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেন নি।এক সময় লোকেরা চিৎকার চেচামেচি শুরু করলে তাকে পুকুরপাড়ে ফেলে রেখে চলে যায়। আমি ও গ্রামের আরো কয়েকজন মিলে সিএনজিচালিত টেক্সিতে করে তাকে উসমানী মেডিক্যালে ভর্তি করি।

এই বিষয়ে এখনো কোনো মামলা রুজু হয় নি। পরিবারের সুত্রে জানা যায়, এই বিষয়ে পুলিশকে অবগত করা হয়েছে ও মামলার প্রস্তুতি চলতেছে।