একুশে নিউজ ডেস্ক : বগুড়ায় সাজানো হত্যা মামলায় এখনো পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সাজিদ ও তার বাবা। জমিতে ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত হন জুয়েল মল্লিক। কিন্তু তার দায় চাপানো হয় নিরিহ সাজিদ ও তার পিতার উপর। গত ৪ বছর ধরে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এদিকে সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টও জারি করেছেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে ২৬ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় নিজের জমিতে গভীর নলকূপ স্থাপন করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার ধাওয়াস গ্রামের মৃত বছির মল্লিকের ছেলে মনসুর আলী মল্লিক ও . শাহাজান আলীর ছেলে মো. সাজিদ আহমদ (৩৫) এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে মনসুর আলী মল্লিকের ছেলে জুয়েল মল্লিক মারাত্মক আহত হন। তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ওইদিনই মনসুর আলী মল্লিক বাদী হয়ে নন্দীগ্রাম থানায় সাজিদ আহমেদ কে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা (নং ৪/২৭/১২/২০২০) দায়ের করেন। মামলায় শাহাজান আলীকেও আসামি করা হয়।
বিনা দোষে এমন ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো মামলায় হতভম্ব হয়ে পড়েন সাজিদ ও তার পরিবারের সদস্যরা। কারণ সংঘর্ষের সময় সাজিদদের পক্ষের ধারেকাছেও জুয়েলকে দেখেন নি কেউ।
কেবলমাত্র পুরানো শত্রুতার প্রতিশোধ নিতে তারা জুয়েল মল্লিক হত্যা মামলায় সাজিদ ও তার পিতাকে জড়িয়েছে । একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে আলাপকালেও তারা বিষয়টি সাজানো বলে স্বীকার করেন।
সেই থেকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিজেদের রক্ষায় আত্মগোপন করেন পিতা পুত্র। এখনো তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এদিকে সাজিদ ও তার পরিবারের পক্ষে মামলা মোকদ্দমা চালানোর মতো যোগ্য ও বিশ্বস্ত কেউ না থাকায় তারা আইনী তৎপরতাও ঠিকমতো চালাতে পারছেন না।
এ অবস্থায় সাজিদ ও তার পিতা শাহাজান আলীর বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১০ মার্চ বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্যাট আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেন।
পরিবারের সহায় সম্পত্তিসহ সার্বিক সব বিষয় দেখাশোনার যোগ্যতা সম্পন্ন দুই সদস্য পিতা-পুত্র আত্মগোপনে থাকায় প্রতিপক্ষ গোটা পরিবারকে নানাভাবে নাজেহাল এবং নির্যাতন করছে বলেও জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র।
সাজিদের অসহায় মা সামাজিকভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি ও মামলা প্রত্যাহারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও প্রভাবশালী মল্লিক পরিবারের কোনো সাড়া মিলছেনা বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে মল্লিক পরিবারের অবস্থান জানতে বার বার মনসুর আলী মল্লিকের মোবাইলে কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার পরিবারের একজন সদস্য জানিয়েছেন, সাজিদ ও তার পিতাই জুয়েলকে হত্যা করেছে। সুতরাং অবশ্যই তাদের ফাঁসিতে ঝুলতে হবে। আমরা সেই লক্ষেই অগ্রসর হচ্ছি।
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302