
নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ৫ আগষ্ট পলাতক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচারীনী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর এদেশের মানুষ একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখার স্বপ্নে বিভোর। আওয়ামী সরকারের ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচারের পর এদেশের অর্থনীতি আজ হুমকির মুখে। প্রায় ১০ টি ব্যাংক এখনো দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। এমতাবস্থায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে ডক্টর ইউনুসের সরকার। দীর্ঘ ৮ মাসেও পুলিশ প্রশাসন তার সঠিক দায়িত্ব পালনে ব্যার্থ হচ্ছে। প্রশাসনিক এই স্তবিরতার কারণে সারা দেশের সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক চোরাচালান, অপহরণ ও গুপ্ত হত্যা সহ সকল অপরাধ নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে। সারাদেশে শিশু ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন হলে ও এসব সন্ত্রাসীরা তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না।সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা হিসাবে বিএনপির অনেক নেতৃবৃন্দের উপরে অভিযোগ আনা হচ্ছে। সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আনা হচ্ছে। তিনি তার বলয় বৃদ্ধি ও শক্তি প্রদর্শনের জন্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের বহু সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিয়েছেন। এসব সন্ত্রাসীরা তাহার ছত্রচ্ছায়ায় পুরনো কায়দায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এমদাদ হোসেন চৌধুরীর সাথে মিছিল মিটিংয়ে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের দেখা যাচ্ছে। এদের মধ্যে সন্ত্রাসী বদরুল ইসলাম, মনাফ, আলী আলতাবুর,শামসুল, হাসিম, খালেদ আহমদ, বাবর, দুলাল, মহসিন মিয়া, বাশার, মিন্টু চন্দ্র, শাহজাহান উল্লেখযোগ্য।এ মদাদ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ আনা হচ্ছে। বিএনপির একাধিক নেতৃবৃন্দের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের কাছে অভিযোগ করেছেন বলে জানান।
বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী জানান, তিনি এসব অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে দলীয়ভাবে এদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্হা নেওয়া হবে।