• ২১শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৭শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

মারজান খাঁনের বাড়ীতে পুলিশের তল্লাশী, পরিবারের সদস্যদের হুমকি-হয়রানী

admin
প্রকাশিত এপ্রিল ১২, ২০২৫
মারজান খাঁনের বাড়ীতে পুলিশের তল্লাশী, পরিবারের সদস্যদের হুমকি-হয়রানী

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ আওয়ামী ছাত্রলীগ বর্ডার গার্ড স্কুল এন্ড কলেজ শাখার প্রচার সম্পাদক মারজান খাঁনের বাড়ীতে পুলিশের তল্লাশী, পরিবারের সদস্যদের হুমকি হয়রানী এবং জামাত বিএনপি নেতাকর্মীদের ভাংচুর।

গত শুবার (১১ এপ্রিল ২০২৫) রাতে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার কাকুরা কুমরাইন গ্রামস্ত মারজান খাঁনের বাড়িতে পুলিশী তল্লাশী ও জামাত বিএনপি নেতাকর্মী কর্তৃক ভাংচুর চালানো হয়।

মারজান খানের পিতা আব্দুল মালিক খাঁন জানান, আমার ছেলে দীর্ঘদিন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী ছাত্রলীগের সাথে শান্তিপূর্নভাবে রাজনীতি করেছে। সন্ত্রাসী, রাহাজানী, সমাজ বিরোধী, ধর্ম বিরোধী কিংবা রাষ্ট্র বিরোধী কোন কর্মকান্ডের সহিত সে কখনো সম্পৃক্ত ছিলো না। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর আমার ছেলে মারজান খাঁনকে খুজিঁতে আমার বাড়ীতে পুলিশ প্রতিনিয়ত তল্লাশী চালায় এবং তাকে না পেয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবহিকতায় বিগত ১১ এপ্রিল ২০২৫ইং রাত অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় পুলিশ ও স্থানীয় বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী রূপে মারজান খানকে খুঁজে থাকে। মারজান খাঁনকে তল্লাশীর নামে আমার ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় তারা মারজান খাঁনকে বাড়িতে না পেয়ে সবাই একসাথে ” হৈ হৈ রৈ রৈ আওয়ামীলীগ গেল কই, হৈ হৈ রৈ রৈ মারজান নেতা গেল কই ” বলিয়া মিছিল দিয়া ঘোষনা দিয়া যায়, যেখানে যেভাবে আমার ছেলেকে তারা পাইবে হত্যা করিবে। তারা ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

মারজান খাঁনের মাতা ফেরদৌস জাহান জানান, আমার নিরপরাধ ছেলে বর্তমানে দেশের বাহিরে রয়েছে। আমার ছেলে ছাত্রলীগ করিলেও সে কখনো কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বা বেআইনি কাজের সহিত জড়িত ছিলো না। আমার ছেলেকে প্রতিহিংসামূলকভাবে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমায় মিথ্যা বক্তব্য দিয়া সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আমার ছেলে মারজান খাঁনকে পুলিশ বারবার আসিয়া খোঁজার কারন জিঞ্জেস করিলে পুলিশ আমাকে ধমক দিয়া বলে আমার ছেলে মারজান খাঁনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা চলমান আছে। আমার ছেলে মারজান খানকে পুলিশ পাইলে ক্রসফায়ার করিয়া মারিবে বলিয়া চলিয়া যায়। এ কারনে আমরা পরিবারের সবাই চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হামলাকারীদের হাতে ধারালো দেশীয় অস্ত্র ছিলো। এসময় তারা চিৎকার দিয়ে বলে মারজান খানকে খুঁজে পেলে তারা প্রাণে মেরে ফেলবে। বর্তমানে তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে জীবন যাপন করিতেছেন।

ঘটনার বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।