
সিলেট সদর সাব রেজিস্টার অফিসের নকল নবিশ নিজাম আল দ্বিন সিন্ডিকেটের কারণে সিলেট সদর সাব রেজিষ্টার অফিসে দলিল লেখক ও জমি রেজিষ্টি করতে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা অতিষ্ঠ। সে ফ্যাসিষ্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে পরিচিত। সে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান হাবিবের একান্ত আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। মূলত তাদের প্রভাব খাটিয়ে তিনি সদর সাব রেজিষ্টার অফিসে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়েছেন। তিনি সদর সাব রেজিষ্টার অফিসের নকল নবিশ পদে কর্মরত থেকে তার মূল দায়িত্ব নকল ও বলিয়ম লেখা বাদ দিয়ে সদর সাব রেজিষ্টার এর এজলাসের পাশে দাড়িয়ে থেকে ও খাস কামরায় থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সদর সাব রেজিষ্টার অফিসের দলিল লেখক ও দলিল রেজিষ্টারী করতে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের জিম্মি করে মোটা অংকের চাঁদা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তার এই অপকর্মের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় দলিল লেখকরা প্রতিবাদ করে আসছেন। কিন্তু সে আওয়ামী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তাদেরকে হেনস্থা করে আসছে। তার ক্ষমতার ভয়ে সিলেট জেলা রেজিষ্টার ও সাব রেজিষ্টার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনিহা প্রকাশ আসছিলেন। ইতিপূর্বে নকল নবিশ নিজাম আল দ্বিনকে ২০১২ সালে দলিলে বালামের পাতা বদলানোর অভিযোগে তার নকল নবিশ পেশা থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে স্বেরাচারী আওয়ামী লীগের সরকারের সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পূনরায় নকল নবিশ হিসেবে কাজে ফিরে আসে। এসেই সে আবারও সিন্ডিকেট তৈরী করে ঘুষ, বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে এবং অঢেল সম্পদের বাড়ি, গাড়ির মালিক হয়েছে। তার অপকর্মে সহযোগিতা না করায় সে অনকে নকল নবিশকে হয়রানী করেছে। তারা তার ভয়ে তার অপকর্মের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না। এসব সিন্ডিকেটের কারণে তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকার পরিবর্তনের পর থেকে সে অন্য একটি রাজনৈতিক নাম ব্যবহার করে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। গত ২০ এপ্রিল নকল নবিশ নিজাম আল দ্বিনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিলেট সদর দলিল লেখক সমিতির ১৪৭ জন সদস্যদের স্বাক্ষর সম্বলিত লিখিত অভিযোগ সিলেট জেলা রেজিষ্টার বরাবরে দাখিল করেছেন এবং তার বিভিন্ন অপকর্মের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমূহে সদর দলিল লেখক সমিতির পক্ষ থেকে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তার বিভিন্ন অপকর্মের সংবাদ জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা রেজিষ্টার মোঃ জহুরুল ইসলাম ২০ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে নকল নবিশ নিজাম আল দ্বিনের বিরুদ্ধে আগামী ১৫ দিনের ভিতরে সরেজমিনে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক সুস্পষ্ট ও স্বয়ংসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রেরণ করার জন্য কানাইঘাটের সাব রেজিষ্টারকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।