সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে হাওরে মাছ ধরতে ফসল রক্ষা বাঁধ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিল ইজারাদারের বিরুদ্ধে।
ইজারাদারের ওই সংঘবদ্ধ গ্রুপটি গত কয়েকদিনে একাধিকবার বাঁধ কাটার চেষ্টা করলেও এলাকাবাসীর পাহারায় ব্যর্থ হয়েছেন।
তবে ইজারাদারদের হাত থেকে শেষ রক্ষা হয়নি উপজেলার হালির হাওরের গনিয়ার কাড়া বেড়িবাঁধটি।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, উপজেলার হালির হাওরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাইঙ্গা নদীর ইজারাদার আক্তার উদ্দিন ও তার ব্যবসায়ী অংশীদার কামাল হোসেন মাছ আহরণে সুবিধা করতে প্রতি বছরই এই বাঁধের মাটি কেটে দেয় তারা। এবছরও হাওরের ধান কাটার পরপরই প্রশাসনের নিষেধ উপেক্ষা করে হাওরের বাঁধ কাটতে গভীর রাতে একাধিকবার চেষ্টা করে স্থানীয় কৃষকদের বাধায় ব্যর্থ হয় রাইঙ্গা নদীর ইজারার মালিক মো. কামাল হোসেন।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে সুযোগ বুঝে কামাল হোসেনের নির্দেশে তার লোকজন হালির হাওরের গুরুত্বপূর্ণ গনিয়ার কাড়া বাঁধটি কাটার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে এলাকার লোকজনের কাছে।
এব্যাপারে বদরপুর গ্রামের অমিন হোসেন বলেন, আমরা প্রতিবছরই এই বাঁধটি নিয়ে আতংকে থাকি। কারণ হালির হাওরের গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ এটি। এই রাইঙ্গা নদী কামাল হোসেন ইজারা নেওয়ার ফলে তার মাছ আহরণে সুবিধা করতে প্রতি বছরই এই বাঁধটি কেটে দেয়। এবারো তাকে না করার পরও সে রাতের আধাঁরে লোকজন দিয়ে মাটি কেটেছে। আমরা তাদেরকে হাতেনাতে ধরেছি। প্রশাসনের কাছে দাবি রইলো এটি যেন সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করেন।
পীযুষ তালুকদার বলেন, রাইঙ্গা নদীর ইজারা মালিক কামাল হোসেন প্রতি বছর এই বাঁধটি কাটার ফলে বাঁধ পার্শ্ববর্তী জমিগুলোতে প্রায় আধ হাত পর্যন্ত পলি মাটি পড়ে জমিগুলো রোপনের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাছাড়া বাঁধটিও দূর্বল হওয়ার কারনে প্রতি বছর বিপুল টাকা বরাদ্দ লাগে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত মো. কামাল হোসেন বলেন, আমি এটা করিনি। আমাকে ফাঁসানোর জন্য এটা করেছে।
স্থানীয় বেহেলী ইউনিয়ন পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, বাঁধ কাটার খবর পেয়েছি। সরেজমিনে গিয়ে বাঁধটি কাটা দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী নিয়ে বাঁধের ভাঙা বন্ধ করেছি। পরে জানতে পারলাম রাইঙ্গা নদীর ইজারাদার কামাল হোসেন এই কাজ করেছে। পরে সকালে কামাল হোসেন আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে অনুনয়-বিনয় করে। পরে তাকে বলে দিয়েছি বাঁধের কোনো সমস্যা হলে এই দায়বার তোমার।
এব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূর জানান, কাটা বাঁধটি রিপেয়ার করেছি। ঠিক আছে আমি পাউবোর এসও সাহেবকে বলে দিচ্ছি এটার তদারকির জন্য।
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302