• ১৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২১শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

ডিআইজির কাছে আবেদন: অনিয়মের প্রতিবাদকারীর উপর হামলার ঘটনায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ

admin
প্রকাশিত জুলাই ১৭, ২০২৫
ডিআইজির কাছে আবেদন: অনিয়মের প্রতিবাদকারীর উপর হামলার ঘটনায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ

সুনামগঞ্জে দিরাইয়ে সরকারি প্রকল্পে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতার হামলার শিকার হওয়া মোক্তার হোসেন নামের এক যুবকের দায়ের করা এজাহারটি আমলে না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা তাকে নানাভাবে হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর লিখিত আবেদনে মোক্তার এ অভিযোগ করেন। মোক্তার হোসেন দিরাই উপজেলার চন্নারচর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড জামায়াতের সেক্রেটারী ও লৌলাচর এলাকার বাসিন্দা।

অভিযোগে মোক্তার হোসেন উল্লেখ করেন গত ৩০ জুন লৌলারচর গ্রামের রাস্তায় তাকে মারধর করেন দিরাই যুবলীগ নেতা খোকন কিবরিয়া ও তার লোকজন। আহত হয়ে তিনি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় দিরাই থানায় মুসলিম তালুকদার, যুবলীগ নেতা খোকন কিবরিয়া, রুহুল আমিন, তফছির আলী, মাহমদ আলী, মামুন মিয়া, বাবুল মিয়া, আব্দুল মতিন, লুবন মিয়া, আলী আমজদসহ কয়েক জনের বিরদ্ধে ভিযোগ দেন। কিন্তু পুলিশ এজাহারটি আমলে নেয়নি।

অভিযোগে মোক্তার উল্লেখ করেন, যুবলীগ নেতা কিবরিয়া দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা প্রদীপ রায়ের মাধ্যমে নানা ভুল প্রকল্প তৈরী করে একাধিক প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এরমধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে রাস্তার উপর মাটি ভরাট প্রকল্পে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে ৪০ হাজার টাকার মাটি ভরাট কওে বাকি টাকা আত্মাসাত করেন। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে গত ১৫ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরেতিনি অভিযোগ দেন। ১৯ এপ্রিল পুলিশ সুপার বরাবওে আরেকটি অভিযোগ করেন। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, খোকন কিবরিয়া ৪টি প্রকল্পের সভাপতি। তার পিতা আব্দুল মতিন তালুকদার পিআইসির সভাপতি। পিতা-পুত্রের অনিয়মের বিষয়ে গত ২৬ মে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অভিযোগ দাখিল করা হয়। দিরাই উপজেলার নির্বাহী অফিসার সনজীব সরকার কোনো ব্যবস্থা নেননি। বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের একাধিক অভিযোগ তাদেও বিরুদ্ধে দেওয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সর্বশেষ গত ৩০ জুন তার উপর হামলা করা হয়। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেন মোক্তার হোসেন।

দিরাই থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি প্রথমে একটি জিডি করেন। সেই জিডির তদন্তকালে কোনো সাক্ষি হাজির করতে পারেননি। পরে হামলার অভিযোগে এজাহার দেন। কোনো কাগজপত্র দেননি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে না। তার পরও বিষয়টি পুলিশ দেখছে।