• ৩১শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ৬ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেটে পুলিশের উপস্থিতিতে চুরি!

admin
প্রকাশিত জুলাই ২৯, ২০২৫
সিলেটে পুলিশের উপস্থিতিতে চুরি!

সিলেটে পুলিশের উপস্থিতিতে চুরির অভিযোগ উঠেছে।মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সিলেট মহানগর পুুলিশের কমিশনার ও শাহপরাণ থানায় এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগটি দায়ের করেছেন উপশহর পশ্চিম তেররতন এলাকার মজনু মিয়ার কলোনির মৃত দ্বারা মিয়ার ছেলে মো. রতন (৫৪)।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৭ জুলাই দিবাগত মধ্যরাতে সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের সাদাটিকর তেররতন এলাকার সুহিন মিয়ার কলোনির মন্তাজ আলীর ছেলে মো. বাবু মিয়া রতন মিয়ার ছেলে মো. আজমল ভুঁইয়ার তালাবদ্ধ ঘরের কড় খুলে প্রবেশ করে। এসময় তার সঙ্গে আরও তিনজন লোক ছিলেন যারা নিজেদের পুলিশ সদস্য বলে পরিচয় দেন।

তারা আজমলের ঘরের আসবাবপত্র তল্লাশী করেন এবং পরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আজমল কোনো মামলার আসামী ছিলেন না। তাই কলোনির অধিবাসীরা এত রাতে তার তালা দেওয়া ঘর খোলার কারণ জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর না দিয়ে বাবুর সঙ্গীরা নিজেদের শাহপরাণ থানার উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য বলে পরিচয় দেন এবং ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরদিন আজমল তার ঘরে ফিরে অবস্থা তসনস দেখে নিজের ঘরে রাখা ২৫ হাজার টাকা খুঁজতে থাকেন। তিনি টাকাগুলো পাননি। এ অবস্থায় তারা উপশহর পুলিশ ফাঁড়িতে যোগাযোগ করলে তাদের জানানো হয় আজমলের ঘরে মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে।এ অবস্থায় মো. রতন মিয়া ও তার ছেলে আজমল এবং পরিবারের সদস্যদের প্রশ্ন, যদি মাদকদ্রব্য পাওয়া যেতো, তাহলে কেন তা উপস্থিত কলোনির লোকজনের সামনে দেখানো হলোনা। প্রথা অনুযায়ী তা গণমাধ্যমকে জানানো হলোনা বা এ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করা হলোনা? তারা সন্দেহ প্রকাশ করেন, ব্যক্তিগত প্রতিশোধ নিতে রাষ্ট্রীয় বাহিনী পুলিশকে ব্যবহার করেছে বাবু। তার সঙ্গে আজমলের ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল। তারা আরও অভিযোগ করেছেন, উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে তার ২৫ হাজার টাকা আত্মসাত করেছে। বাবু একজন উশৃঙ্খল এবং সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। এলাকায় তার বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। রতন মিয়া, বাবুসহ সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মুহিবুর রহমান অভিযোগটি তদন্তের জন্য শাহপরাণ থানার ওসিকে লিখিত নির্দেশনা দিয়েছেন। অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি স্বীকার করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মনির হোসেন। তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে