
সিলেট জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সদস্য ফয়জুর রহমান হত্যাচেষ্টার ব্যবহৃত সিএনজি ও দুর্বৃত্তদের এখনও গ্রেফতার বা সন্ধান পায়নি পুলিশ। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন সিলেট জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র চন্দ্র মল্লিক। তিনিং তার আবেদনে উল্লেখ করেন,বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি সিলেট জেলা শাখার সদস্য ফয়জুর রহমান, সমিতির সদস্য নম্বর- ৪৮১, এডভোকেট ক্লার্ক কার্ড নম্বর-১৪১৪। তিনি বিগত ১০ আগস্ট প্রতিদিনের ন্যায় পেশাগত কাজে আদালতে সিএনজি গাড়ী যোগে আসার পথে সকাল অনুমান ৯.৩০ ঘটিকার সময়, তাহার সাথে সি.এন.জি গাড়ীতে যাত্রীরূপে থাকা অজ্ঞাতনামা কয়েকজন সন্ত্রাসী দ্বারা গুরুত্বর হামলার স্বাকীর হন। পরবর্তীতে তিনি অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কতোয়ালী মডেল থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। কতোয়ালী থানার মামলা নং-১৯, তারিখ-১৪/০৮/২০২৫ মামলাটি রেকর্ড করে সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মো: আতিক উজ জামান জুনেল, ভি.পি. নং-৮৯১৭২০২৪৯৯ কে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব অর্পন করেন। সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোঃ আতিক উজ জামান জুনেল দায়িত্ব প্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোন আসামী ও সি.এন.জি গাড়ীটি সনাক্ত বা আটক করতে পারেননি। তাই মামলার সুষ্ট তদন্ত হওয়ার স্বার্থে অভিজ্ঞ ও দক্ষ কোন তদন্ত অফিসার দ্বারা মামলাটি তদন্ত করার আকুল আবেদন করেন।
এ ব্যাপারে আইনজীবী সহকারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র চন্দ্র মল্লিক জানান, ফয়জুর রহমান হামলার শিকার হওয়ার ২১ দিন মারপিটের সিসি টিভি ফুটেজ ও সিএনজি অটোরিকশার সিসি টিভি ফুটেজ থাকার পরও অদৃশ্য কারণে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোন সহযোগিতা করছেন না। তাই আমরা পুলিশ কমিশনার বরাবরে আবেদন করেছি।
সূত্র জানায়, গত ১০ আগস্ট আইনজীবী সহকারী ফয়জুর রহমান তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য নিজ বাড়ি থেকে সিলেট জজ আদালতের উদ্যেশে জালালাবাদ থানাধীন তেমুখী পয়েন্ট থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় উঠেন। ওই সিএনজিতে পূর্ব থেকে যাত্রী বেশে থাকা ৪ জন দুর্বৃত্ত ছিল। নগরীর মিরের ময়দানে আসামাত্র যাত্রীবেশি ওই ৪ জনের একজন উপর প্রান্তে থাকা একজনের সাথে কথা বলে, তখন ফয়জুর শুনতে পান যে তাকে জীবনের মতো শেষ করে দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন অপর একজন ব্যক্তি। ওই সময় ফয়জুর সিএনজি থামাতে বললে গাড়িতে থাকা সন্ত্রাসীরা ফয়জুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে নানা ধরনের অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হাত ভেঙে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। তখন স্থানীয় পথচারী ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা ফয়জুরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে ফয়জুর রহমান বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলা দায়ের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আতিক উজ জামান জুনেল ঘটনাস্থলের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে বাদী দেখান। কিন্তু পরবর্তীতে অদৃশ্য কারণে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিএনজি অটোরিকশা আটক বা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করেননি।
এ ব্যাপারে এসএমপি’র কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জিয়াউল হক জানান, মামলায় যদি বামদিকে আইও সহযোগিতা না করেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যেহেতু একটা লিখিত আবেদন আছে, তা আমাদের কাছে আসা মাত্রই আইও পাল্টানো হবে।