খুলনা প্রতিনিধি : খুলনার মেয়ে মোসা. রিফা রাফিয়া শ্রাবণীকে ঘিরে এখন তুমুল বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে, তিনি স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে যুক্তরাজ্যে চলে গিয়ে সমকামী সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
পরিবার বলছে, এই সিদ্ধান্ত শুধু তাঁদের সম্মান নষ্ট করেনি, বরং পুরো সমাজকে লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। আত্মীয়রা প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন, “সে শুধু সংসার ভেঙে দেয়নি, আমাদের সংস্কৃতি ও ধর্মকেও অপমান করেছে।”
পরিবার ও সন্তানকে রক্ষা করার পরিবর্তে, তিনি বেছে নিয়েছেন কলঙ্ক, বিদ্রোহ এবং নৈতিক অবক্ষয়। শ্রাবণী এখন অনেকের কাছে স্বাধীনতার প্রতীক নয়, বরং বিশ্বাসঘাতকতা ও সমাজের কলঙ্কের প্রতীক।
“এটি স্বাধীনতা নয়। এটি ধ্বংস। তিনি সমাজের জন্য অভিশাপ, এবং আমাদের পরিবার কখনই সুস্থ হতে পারবে না,” বলেন এক আত্মীয়।
বাংলাদেশে এই ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বলছেন, পশ্চিমা প্রভাব যুবসমাজকে বিষাক্ত করছে এবং পরিবার ও সমাজের নৈতিক ভিত্তি নষ্ট করছে।
যে পরিবারটি একসময় সম্মানিত ছিল, এখন তারা লজ্জায় ভুগছে। প্রতিবেশীরা ফিসফিস করে কথা বলছেন, আত্মীয়রা সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। তাঁর পিতা, যিনি পরিবারকে সম্মানিত করেছিলেন, এখন মাথা নীচু করে হাঁটছেন।
“আমরা আর কারো মুখ দেখতে পারি না। আমাদের সম্মান শেষ হয়ে গেছে,” বললেন এক আত্মীয়।
অভিযোগ আরও গুরুতর হয়েছে যখন জানা গেছে, শ্রাবণী বিদেশে প্রকাশ্যে সমকামী জীবনযাপন করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ক্ষোভের ঝড় ওঠে।
স্থানীয়রা বলছেন, তাঁর জীবনধারা যুবসমাজকে প্রভাবিত করতে পারে। “যুবকরা দেখবে, কেউই ধর্ম ও পরিবারকে ত্যাগ করে বিদেশি প্রলোভনের দিকে চলে যেতে পারে। এটি সমাজের জন্য ভয়ংকর,” মন্তব্য করেন এক বৃদ্ধ নেতা।
শ্রাবণীর স্বামী দাবি করেছেন, “সে বহু বছর ধরে দ্বৈত জীবন কাটাচ্ছিল। ঘরে স্ত্রীর ভান করলেও বাইরে সম্পূর্ণ ভিন্ন জীবন চালাত।” তাঁর অভিযোগ, ১১ বছর সংসার টিকিয়ে রাখতে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন, তিনি দক্ষিন কোরিয়ায় তাদের ছেলে সহ শ্রাবণীকে নিয়ে যান সুন্দর জীবিনের আশায় কিন্তু শ্রাবনী শেষ পর্যন্ত সেখান থেকেও পালিয়ে যান যুক্তরাজ্যে এবং বেছে নেন লজ্জাজনক সমকামীতা।
ধর্মীয় নেতারা বলছেন, “সমকামী সম্পর্ক ইসলামে হারাম। এটি সমাজের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক।” তাঁদের মতে, পাশ্চাত্যের প্রভাব তরুণ প্রজন্মকে নষ্ট করছে।
তবে কিছু সমাজ বিশ্লেষক মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে আইনশৃঙ্খলা ভাঙা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তাঁদের মতে, ক্ষোভ থাকলেও হিংসা নয়, আইনের পথে সমাধান খুঁজতে হবে।
সব মিলিয়ে, শ্রাবণীর সিদ্ধান্ত শুধু একটি পরিবারের নয়, বরং পুরো সমাজের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন সবার নজর—তিনি দেশে ফিরলে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে, শান্তিপূর্ণ সমাধান আসবে নাকি অশান্তির নতুন অধ্যায় শুরু হবে।
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302