সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমে অবদান রাখায় সিলেটের ১১ জন প্রবীণ গণমাধ্যমকর্মীকে সম্মাননা প্রদান করায় তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি নাজমুল কবীর পাভেল।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের গণমাধ্যম কিছুটা হলেও তাদের বাকস্বাধীতা ফিরে পেয়েছে। তারা দীর্ঘকাল ধরে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত। তার অভিজ্ঞতার ঝুড়ি অনেক ভারি। তিনি বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি তাদের সাংবাদিকের জ্ঞানের গভীরতায় দেশ আরও সমৃদ্ধ হবে। একইসঙ্গে তিনি তার সুচিন্তিত মতামতের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন বলে আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে ইউনেস্কো ক্লাব সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০২৩ প্রদান করা হয়।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এম সাইফুর রহমান ও জেনারেল ওসমানীর নাম ফ্যাসিবাদের সময় মুছে ফেলা হয়েছিল, যা তিনি পুনঃস্থাপন করেছেন। সেই সময় শত কোটি টাকা তসরুপ হলেও কোনো উন্নয়ন হয়নি। বর্তমানে উন্নয়ন কাজ শুরু হলেও বাজেট পাওয়া যাচ্ছে না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও অণুজীব বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আলিমুল ইসলাম । নয়া দিগন্ত ফ্যাসিবাদের নিপীড়নের মধ্যেও দৈনিক নয়া দিগন্ত ও দৈনিক সংগ্রাম লড়াই করে টিকে ছিল বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও অণুজীব বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আলিমুল ইসলাম।
আজ শনিবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবের আমিনুর রশিদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সিলেটের ১১ জন সাংবাদিককে “ইউনেস্কো ক্লাব সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০২৩” প্রদান করা হয়।
জাতীয় ইউনেস্কো ক্লাব এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দা মিনুফার নাসরিনের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রফেসর আলিমুল ইসলাম বলেন, ‘স্বৈরশাসকের সময় দেশপ্রেমিক গণমাধ্যমের ওপর খড়গ নেমেছিল। আমার দেশ, দিনকাল, দিগন্ত টিভিসহ অনেক মিডিয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তবে নয়া দিগন্ত ও সংগ্রাম কঠিন লড়াই করে টিকে ছিল।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কিছুটা আছে, তবে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে। সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা না থাকলে তা সারশূন্য হয়ে পড়ে।’
তিনি আরো জানান, ‘সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এম সাইফুর রহমান ও জেনারেল ওসমানীর নাম ফ্যাসিবাদের সময় মুছে ফেলা হয়েছিল, যা তিনি পুনঃস্থাপন করেছেন। সেই সময় শত কোটি টাকা তসরুপ হলেও কোনো উন্নয়ন হয়নি। বর্তমানে উন্নয়ন কাজ শুরু হলেও বাজেট পাওয়া যাচ্ছে না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যুরো প্রধান আবদুল কাদের তাপাদার, বাংলা টিভির সিলেট ব্যুরো প্রধান আবদুল মালিক জাকা, আমার দেশ-এর সিলেট ব্যুরো চিফ খালেদ আহমদ। অন্য পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- আবদুল মালিক চৌধুরী (দৈনিক ইত্তেফাক), আবদুল হামিদ মানিক (সিলেটের ডাক), মুহাম্মদ ফয়জুর রহমান (সিলেট সংলাপ), মুহাম্মদ আমজাদ হোসাইন (সিলেট বেতার), আতাউর রহমান আতা (ফটো সাংবাদিক), খালেদ আহমদ (দেশ টিভি)।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, পুরস্কারপ্রাপ্তরা সিলেটের সাংবাদিকতার আইকন। তারা সিলেটের সাংবাদিকতাকে সমৃদ্ধ করেছেন।
বক্তারা বলেন, ১৮৭৪ সালে ‘শ্রীহট্ট প্রকাশ’ প্রকাশের মাধ্যমে সিলেটে সাংবাদিকতার সূচনা হয়। স্বাধীনতা-পরবর্তী যুগভেরী, সিলেট কণ্ঠ, জালালাবাদী, সমাচার আধুনিক সাংবাদিকতায় অনন্য ভূমিকা রেখেছে। বর্তমানে সিলেট সংবাদপত্রের তৃতীয় বাজার, যেখানে প্রতিদিন লাখ খানেক দৈনিক পত্রিকা বিক্রি হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ-সাংবাদিকতা ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে বক্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং গণমাধ্যমের ভাবমূর্তি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। শেষে প্রধান অতিথি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302