
প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা,মব সন্ত্রাস-নারী নির্যাতন-সাম্প্রদায়িক নিপীড়ন বন্ধ, দ্রুব্যম্যূল্যের নিয়ন্ত্রণ, ব্যাটারি চালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদান ও চা শ্রমিকদের দৈনিক নগদ মজুরি ৬শত টাকা ঘোষণার দাবিতে বাসদ সিলেট জেলা শাখার মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
১৭ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় আম্বরখানাস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বাসদ জেলা আহ্বায়ক আবু জাফর এর সভাপতিত্বে ও জেলা সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পাল এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বাসদ জেলা সদস্য,চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আহ্বায়ক নাজিকুল ইসলাম রানা, সমাজতান্ত্রিক নির্মাণ শ্রমিক ফ্রন্ট এর আহ্বায়ক মামুন বেপারি,চা শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক বীরেন সিং, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এর সহ সভাপতি শহীদ আহমদ, সিমান্ত রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনজুর আহমদ, দপ্তর সম্পাদক মাহফুজ আহমদ, সংগ্রাম পরিষদের সহ-সভাপতি আবুল খায়ের, ইয়াছিন আহমদ, মিন্টু যাদব, রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ আহমদ, ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি হুসেইন আহমেদ প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ’২৪ এর গণ অভ্যুত্থানের পর থেকেই একদল চিহ্নিত গোষ্ঠী মব সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বিচারক, শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য করানো, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নসমূহ ধ্বংস করা, মাজার ভাঙা, বাউল আখড়ায় হামলা, সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর, আদিবাসীদের উপর হামলা, উপসনালয়ে হামলাসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে আর এদের প্রধান টার্গেট হলো মুক্তিযুদ্ধ। অন্তর্বর্তী সরকার মব সন্ত্রাস বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ না নিয়ে সরকারের নানা মহল ‘প্রেসার গ্রুপ’ ইত্যাদি বলে প্রকারান্তরে মব সন্ত্রাসীদের উৎসাহিত ও পৃষ্ঠপোষকতা করছে বলে জনগণ মনে করে।
বক্তারা বলেন, গণতন্ত্র উত্তোরণের পথে বাঁধা সৃষ্টি করতেই একটি মহল দেশে নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলা তৈরি করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি, উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং দেশি-বিদেশি সাম্রাজ্যবাদী শক্তি নানা চক্রান্ত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যারা ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে মব সন্ত্রাস ও নানা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে।
সমাবেশে বক্তারা খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করে অবিলম্বে বিআরটিএ কর্তৃক ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদান, সিলেট নগরীতে ব্যাটারিচালিত যানবাহন আটক-ডাম্পিং-উচ্ছেদ বন্ধের আহ্বান জানান।
বক্তারা জনদুর্ভোগ রোধে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কসহ সকল সড়কের সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করা, নির্মিতব্য সিলেট জেলা ২৫০শয্যার হাসপাতাল চালু, নগরীর জলাবদ্ধতা ও বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।