
পুলিশ পরিবারের সদস্য মরহুমা ফাতেমা বেগমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সিলেট মুন্সিপাড়া ইয়ং ব্রাদার্স ক্লাবের গঠনতন্ত্র প্রকাশনা কমিটির সদস্য ও সাবেক সহ সভাপতি মো. শামীম আহমদ চৌধুরী।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, তার মৃত্যুতে আমরা একজন সদা হাস্যোজ্জ্বল, সৎ, পরোপকারী ও সমাজসেবামূলক কাজে নিবেদিতপ্রাণ মানুষকে হারালাম। তিনি ছিলেন অত্যন্ত অতিথিপরায়ণ ও সহজ-সরল স্বভাবের একজন মহীয়সী নারী। তার শূন্যতা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। আমি মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
উল্লেখ্য, তিনি দীর্ঘদিন থেকে ডায়াবেটিক রোগে ভোগছিলেন। ২০১৬ সালে মরহুমা ফাতেমা বেগম স্বামী মরহুম মিলন মিয়ার সাথে উমরাহ্ পালন করেন। ২০১৮ সালে তিনি ভারতের মাদ্রাজের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওপেন হার্ড সার্জারী করান। হঠাৎ করে ডায়াবেটিকের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বাদ আছর চিকিৎসা গ্রহণের জন্য চতুর্থ তলায় ভর্তি হন। পরে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ভোর ৫টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। এদিন বাদ এশা হযরত শাহ জালাল (র:) মাজার মসজিদ প্রাঙ্গণে মরহুমা ফাতেমা বেগমের জানাযার নামাজ শেষে দরগাহ কবরস্থানে মৃত স্বামী মিলন মিয়ার কবরের পাশে দাফন সম্পন্ন করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালী সদর থানার, কুচাইতলী গ্রামে। তিনি সিলেট জেলা পুলিশের সদস্য মরহুম মিলন মিয়ার সাথে দ্বিতীয় বিবাহে আবদ্ধ হন। তাদের গোলাম কিবরিয়া রুবেল, গোলাম কিবরিয়া জুয়েল ও ঝুমু কিবরিয়া নামের তিন সন্তান রয়েছে। গোলাম কিবরিয়া রুবেল স্ব-পরিবারে ইতালি প্রবাসী, গোলাম কিবরিয়া জুয়েল সিলেট জেলা পুলিশ কনস্ট্রেবল পদে কর্মরত আছেন, ঝুমু কিবরিয়া স্ব-পরিবারে ইউরোপের সাইপ্রাস প্রবাসী।
সিলেট জেলা পুলিশের সদস্য মরহুম মিলন মিয়ার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার ভোগলা বাগান বাড়ি গ্রামে। মরহুম মিলন মিয়ার প্রায় ১৫ বছর পূর্বে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩নং ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়ার ৩১নং বাসা ক্রয় করেন।
Editor: Shahin Ahmed & Sadrul Islam Lukman
Office: Hoque Super Market, 3rd Floor, Zindabazar, sylhet.
Email: ekusheynet.syl@gmail.com
Contact: 01739447302