সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ জিউর আখড়ায় বিএনপি নেতা সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু গংরা মন্দিরের তালা ভেঙ্গে অনধিকার প্রবেশ করে পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গত ২৩ নভেম্বর ২০২৫ইং তারিখে স্মৃতি রানী নাথ সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবরে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপিতে তিনি উল্লেখ করেন, জিন্দাবাজারস্থ শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ জিউর আখড়ার বাসিন্দা জিতেন চন্দ্র নাথের স্ত্রী স্মৃতি রাণী নাথ। শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ জিউর আখড়ার বাসিন্দা ও একনিষ্ঠ ভক্ত। পূর্বপুরুষ হতে যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন। গত ১লা নভেম্বর ২০২৫ তারিখে বিএনপি নেতা সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু গংরা মন্দিরের তালা ভেঙ্গে অনধিকার প্রবেশ করে তার পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই হামলায় তার বড় ছেলে রাহুল দেব নাথ আহত হয়। উল্টো তাদের উপর কোতোয়ালী থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে জবর দখল কারীরা। তাদের অভিযোগ কোতোয়ালী থানা আমলে না নিয়ে তাদের উপর হামলার সিসিটিভির ফুটেজসহ সকল তথ্য ধারা আদালতে দাখিলক্রমে মহামান্য আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। যাহার নং-২৬/২০২৫ইং। উক্ত মামলায় আদালত সরাসরি এজাহার গন্যের আদেশ প্রদান করেন এবং যা পরবর্তীতে কোতোয়ালী জি. আর ৩২/৫৩৬ নং নম্বরভুক্ত হয়। এই মন্দিরের আশপাশের অপরাপর ভূমি শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ জিউর আখড়া স্বতাধীন দেবোত্তর সম্পত্তি হওয়ায় আমার ছেলে মন্দিরের ভক্ত রাহুল দেবনাথ বাদী হয়ে অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও আমল গ্রহণকারী আদালত কোতোয়ালী সি. আর ৮৫১/২০২৩ ইংরেজি, ধারা-৪৬৭/১৬৮/৪৬৯/ ৪৭১/৪০৬/৪২০/৫০৬/৩৪ দন্ডবিধি দায়ের করলে আদালত তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে নির্দেশ দিলে স্মারক নং পিবিআই/সিলেট/১৩৯৭, তারিখ-০৭/০৩/২০২৫ইং মূলে পিবিআই ৩০ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। অভিযুক্ত ব্যাক্তিবর্গ মন্দিরের সম্পদ বিক্রিসহ অনুমোদনবিহীন জাল ভুয়া কমিটি গঠন করে ১২ কোটি ২৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে যাহা উক্ত পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত উল্লেখ আছে। কোতোয়ালী সি.আর ৮৫১/২০২৩ ইং মোকদ্দমার কতেক আসামী জামিনে মুক্তি লাভ করিয়া মন্দিরের ক্ষতি সাধন ও মন্দিরের খালা ভেঙ্গে অনধিকার প্রবেশ করে বন্ধুক, দেশীয় অস্ত্র ও বড় হাতুড়ি নিয়ে মন্দির দখলের পায়তারা করে এবং মন্দির দখলের পায়তারা লিপ্ত আছে। অভিযুক্ত ব্যাক্তিবর্গ পূণ্যভূমি সিলেটে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার প্রচেষ্টায় আছে। সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু গংরা লোকমুখে বলে বেড়াচ্ছে, উক্ত মামলান্বয় না তুলিলে তাহারা আমার বাসায় আগুন দিয়া স্বপরিবারে আমাদেরকে পোড়াইয়া মারবে ও বিভিন্ন মামলায় নাম সংযুক্ত করে হয়রানি করছে তাই পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মামলা দ্বয়ের আসামী সুদীপ রঞ্জন সেন বাপু গংরা নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। এই মন্দিরে বসবাসরত আমি ও আমার পরিবারের লোকজন এবং বসবাসরত ভক্তবৃন্দদের অনবরত প্রাণে হত্যার হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এসব ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিতেছে।