• ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেট মহানগর তাঁতীদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবীতে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫
সিলেট মহানগর তাঁতীদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবীতে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল সিলেট মহানগরীর নবগঠিত বিতর্কিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির কাছে মহানগর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিতে পত্রে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বিএনপির উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, আমরা অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে উপলব্ধি করছি যে, দলের কতিপয় নেতাদের কারণে দলের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করার নীলনকশা বাস্তবায়নের তৎপরতা প্রকাশস্বরূপ সিলেট মহানগরীর নবগঠিত এই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সিলেট মহানগর তাঁতীদলের সুপার ফাইভ কমিটি বিগত ২১/১১/২০২২ইং তারিখে কেন্দ্রীয় তাঁদীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান দেশ ও দলের ক্রান্তিকালে হাজী আব্দুল গফফারকে সভাপতি, তাজ উদ্দিন লিলুকে সহ-সভাপতি, ফয়েজ উল কয়েসকে সাধারণ সম্পাদক, জসীম উদ্দিনকে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রায়হাদ বক্স রাক্কুকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে অনুমোদন প্রদান করেন। সেই অনুমোদিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে কোনো প্রকার অবগত না করে হঠাৎ ৮/১২/২০২৫ ইং তারিখে সিলেট শহরের চিহ্নিত আওয়ামীলীগের দোসর বিতর্কিত ব্যক্তি কয়েছ আহমদকে আহ্বায়ক এবং আওয়ামীলীগের আরেক দোসর জসীম উদ্দিনকে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও আমিনুল হক বেলালকে সদস্য সচিব করে ৬৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির তালিকা ফেসবুকের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক জনাব আবুল কালাম আজাদ বরাবরে মহানগরের সভাপতি জনাব হাজী আব্দুল গফফার কমিটির সত্যতা জানার জন্য ফোন করেন। আহ্বায়ক আজাদ আব্দুল গফফারকে সিলেট জেলার আহ্বায়ক ফয়েজ আহমদ দৌলতের সাথে এ ব্যাপারে যোগযোগ করার পরামর্শ দেন এবং বলেন, মহানগরের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি দৌলত আহমদের নিয়ন্ত্রণে প্রদান করা হয়েছে বলে জানান।

আমাদের অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি সুপার ফাইভ থাকা অবস্থায় ও আমাদের কোনো প্রকার অবগত বা অবহিত না করে হঠাৎ কমিটি ঘোষণায় আওয়ামীলীগের চিহ্নিত দোসর কয়েছ আহমদের হাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ত্যাগী নেতা কর্মীদের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এতে সাবেক পূর্ণাঙ্গ কমিটির সুপার ফাইভ নেতৃবৃন্দের দ্বারা গঠিত বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটিতে নির্যাতীত ত্যাগী নেতা-কর্মীদের স্থান না দিয়ে অবমূল্যায়ন করা হয়। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও ষড়যন্ত্রমূলক। ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে নেতৃবৃন্দের উপর অযৌক্তিক স্থবিরতা ও অবহেলার কারণ দেখানো হয়, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। বর্তমান ঘোষিত আহ্বায়ক কয়েছ আহমদের অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ ও আওয়ামী দোসর হিসেবে বিগত মামলার আসামীর প্রমাণাদি সহকারে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব বরাবরে উপস্থাপন করার পরও দৌলত আহমদ ফয়েজের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কয়েছ আমহদকে কিভাবে আহ্বায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়? তাহা বর্তমান নির্বাচনী পরিবেশে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যে বিভক্তি ধরানোর কৌশল বলে আমরা মনে করি।

জানা আবশ্যক যে, সাবেক কমিটির উপর ব্যর্থতার দায় চাপিয়ে দৌলত সাহেবের অগঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কমিটি অনুমোদন দিতে গিয়ে কিভাবে সাবেক কমিটির নিষ্ক্রিয় জসীম উদ্দিনকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আবার নিয়োগ দেয়া হয়? যদিও তিনি সাবেক কমিটির একেবারে নিষ্ক্রিয় সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। প্রশ্ন থেকে যায়, তাকে কোন যোগ্যতাবলে আহ্বায়ক কমিটিতে পদায়িত করা হয়েছে যদিও সাবেক কমিটির উপর অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সাবেক কমিটির উপর মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণে যথেষ্ট বলে আমরা মনে করি।

উপদেষ্টা সিলেট ১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল সিলেট মহানগরের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করে, সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।