
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র, দেশপ্রেমিক ও সাহসী তরুণ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন যুব জমিয়ত বাংলাদেশ সিলেট মহানগরীর নেতৃবৃন্দ। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এই মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানান এবং এর পেছনে থাকা দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন।
শুক্রবার যুব জমিয়ত বাংলাদেশ সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা আসআদ উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আব্দুল করিম দিলদার এক বিবৃতিতে বলেন, “ওসমান হাদি ছিলেন বাংলা মায়ের এক অকুতোভয় ও সাহসী সন্তান। সত্যের পক্ষে তার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল। তার এই অকাল ও রহস্যজনক মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা বিশ্বাস করি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। দেশপ্রেমিক এই তরুণকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তাদের আড়াল করার কোনো সুযোগ নেই।”
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ওসমান হাদির মৃত্যুর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করে ঘাতকদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান। একইসাথে তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সিলেট মহানগর যুব জমিয়তের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম বেলাল আহমদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মাওলানা আফজাল হোসাইন খান, মাওলানা আবু সুফিয়ান, মাওলানা আব্দুল আহাদ আল আতিক, মাওলানা ফয়জুল হাসান খান, মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফরহাদ কোরাইশী; সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আফতাব উদ্দীন খান, মাওলানা হায়দার আলী, মুফতী আশরাফ হোসাইন ফুআদী, মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মাওলানা সায়েম আহমদ; সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী সিরাজুল ইসলাম; সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এম বশির আলী, খলিলুল্লাহ মাহবুব; অর্থ সম্পাদক এম ফয়সাল আহমদ এবং প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা তোফায়েল আহমদ কামরান।
মহানগরীর আওতাধীন বিভিন্ন থানার নেতৃবৃন্দও এই শোক জ্ঞাপন কর্মসূচিতে শামিল হয়েছেন। শোক প্রকাশকারীদের মধ্যে রয়েছেন: কোতোয়ালি থানা সভাপতি ও মহানগরীর সহ-সভাপতি হাফিজ মাওলানা শাহিদ হাতিমী, সাধারণ সম্পাদক মুফতী নোমান সালেহ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইমাম উদ্দীন ও মাওলানা জিয়া উদ্দিন, শাহপরান থানা সভাপতি মাওলানা এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফখরুল ইসলাম ইমরান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ দিলদার হোসাইন ও প্রচার সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাদির, জালালাবাদ থানা সভাপতি মাওলানা আব্দুল হাসিব খান, সাধারণ সম্পাদক হাফিজ জুবায়ের আহমদ, এখলাসুর রহমান সফরাজ ও সৈয়দ ইয়াকুব আহমদ, বিমানবন্দর থানা সভাপতি মাওলানা রেজওয়ান আহমদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মুফতী মারুফ হাসান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান মাসুম, দক্ষিণ সুরমা থানা সভাপতি মাওলানা রহুল আমীন মারজান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কামরুজ্জামান ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফজলুল করিম, মোগলাবাজার থানা আহবায়ক মাওলানা আব্দুল কাদির ও সদস্য সচিব হাফিজ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশপ্রেমিক তরুণদের ওপর এমন বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। অবিলম্বে বিচার নিশ্চিত করা না হলে তৌহিদী জনতা রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।