
ইসলামী রাজনীতি ও সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে তরুণ প্রজন্মের এক সাহসী কণ্ঠস্বর হাফেজ আব্দুল করিম দিলদার। দ্বিমুখী প্রতিভার অধিকারী এই ব্যক্তিত্ব একইসাথে রাজপথের লড়াকু সৈনিক এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক নিবেদিত প্রাণ। দেশ, জাতি ও ইসলামের ক্রান্তিলগ্নে তার ধারাবাহিক সংগ্রাম তাকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়।
আব্দুল করিম দিলদার বর্তমানে যুব জমিয়ত বাংলাদেশ সিলেট মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১২ সালে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনকালে রাজপথ থেকে গ্রেফতার হয়ে তিনি দীর্ঘ মেয়াদে কারাবরণ করেন। জেল-জুলুম ও ত্যাগের সেই কণ্টকাকীর্ণ পথ মাড়িয়ে তিনি আজ সিলেটের রাজপথে অন্যতম এক বলিষ্ঠ নেতায় পরিণত হয়েছেন।
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীনতম সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘জাগরণ ইসলামী সাংস্কৃতিক দল’-এর প্রধান পরিচালক হিসেবে তিনি সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। ২০১৩ সালে ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের ঐতিহাসিক মহাসমাবেশে ঈমানী ও বিপ্লবী সংগীত পরিবেশন করে তিনি দেশজুড়ে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন।
সিলেটের মাটি ও মানুষের অধিকার রক্ষায় এবং দেশবিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে আব্দুল করিম দিলদারের ভূমিকা সবসময়ই অগ্রগণ্য। বিশেষ করে ইসলাম, দেশ ও জাতির স্বার্থবিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সিলেটের রাজপথে তাকে নিয়মিত সামনের সারিতে দেখা যায়। হেফাজতে ইসলাম এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রায় প্রতিটি কর্মসূচিতে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং জাগরণী সংগীত পরিবেশনা নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় বুজুর্গ ও ওলামায়ে কেরামের স্নেহধন্য আব্দুল করিম দিলদার নিয়মিত ওয়াজ-মাহফিল, তাফসিরুল কোরআন মহাসম্মেলন এবং নাশীদ মাহফিলে দেশব্যাপী আমন্ত্রিত হন। রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং সাংস্কৃতিক মেধার সমন্বয়ে তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন।
সুস্থ সংস্কৃতির প্রসার এবং দেশপ্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত আব্দুল করিম দিলদার তার মেধা ও শ্রম দিয়ে আগামীতে দেশের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা।